এ প্রসঙ্গে পরীমনি বলেন, আমি শারীরিকভাবে ফিট না। আমার অনাগত সন্তানের স্বার্থেই নির্বাচন থেকে সরে এসেছি। আর শিগগিরই চিকিৎসার জন্য রাজকে নিয়ে ইন্ডিয়া যাওয়ার ইচ্ছে আছে। অবশ্য আমি আগে থেকেই চিকিৎসার জন্য বেশ কয়েকবার ইন্ডিয়া গিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসক আমাকে সম্পন্ন রেস্টে থাকতে বলেছেন। আমার অনাগত সন্তানের জন্মের আগে আমি কোনো ধরনের ঝুঁকি নিতে চাই না। যেহেতু নির্বাচন করতে গেলে। মিনিমাম সময় দেওয়া লাগে। আমি সেই সময়টাও দিতে পারছি না এই মূহুর্তে। তাই ভেবে দেখলাম নির্বাচন না করায় আমার জন্য উত্তম। আমার স্বামী রাজও চায়না আমি এই অবস্থা নির্বাচনে অংশ নেই। তাই সবমিলিয়ে আমি নিজ ইচ্ছে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিন্ধান্ত নিয়েছি।
এদিকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ায় এখন নির্বাচন থেকে পরীমনির সরে দাঁড়ানোর কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন শিল্পী সমিতির নির্বাচন কমিশনের সদস্য জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, শনিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত শিল্পী সমিতির নির্বাচন কমিশনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের চিঠি জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল। এর মধ্যে আমরা কারও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের চিঠি পাইনি। পরীমনির কোনো চিঠিও আমাদের হাতে আসেনি।
জানতে চাইলে পরীমনির প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক চিত্র নিপুণ বলেন, ‘আমরা তো জানি এখন পরীর শরীরটা খারাপ। সে তো আমাদের সঙ্গে সাইন করা, এখন আর আসলে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সময়ও নেই, সরে দাঁড়ানোরও সুযোগ নেই।
তাহলে পরীমনি নির্বাচনের মাঠে সক্রিয় থাকবেন না, বিষয়টি এমন কিনা জানতে চাইলে নিপুণ বলেন, ‘সক্রিয় থাকবে কিনা এখন বলতে পারছি না, সে যখন দেখা করেছে তখন শরীর খারাপের কথা বলেছে। আমরা বলেছি বেটার ফিল করলে বের হইয়ো, কারণ কোভিড পরিস্থিতিও তো ভালো না।’
ঢাকা/মীম
0 মন্তব্যসমূহ