সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

তিন চুল্লির পাহাড়! দার্জিলিংয়ের ভিড় এড়িয়ে চলুন তিনচুলে।।BDNews.in


বিডি নিউজ ডেস্কঃ ভ্রমনপিপাসু মানুষের কাছে চিরকালই থাকে পাহাড়ের (Hill Station) হাতছানি। যদিও এই করোনাকালে অনেকটাই বদলে গিয়েছে ভ্রমণের সংজ্ঞা। এখন কেউ নিতে চাইছেন না বড় ট্যুর প্ল্যান করার ঝুঁকি। তাই, আমাদের রাজ্যের অফবিট জায়গা বা লুকোনো কোনও গন্তব্য খুঁজছেন অনেকেই। আজ সেরকমই এক অফবিট জায়গার সন্ধান দেব আপনাদের।

দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) ভিড়ভাট্টা এড়িয়ে চলুন তিনচুলে। পাহাড়টি একসময় তিনটি চুল্লি অর্থাত্‍ উনুনের মত দেখতে ছিল বলে এর নাম তিনচুলে। পাহাড়ের কোলে এই ছোট্ট জনপদে ভালোই চাষবাস হয়, যার বেশিরভাগই ভেজষ পদ্ধতিতে।

তিনচুলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি ইতিহাসের হাতছানিও রয়েছে। যা যথেষ্টই রোমাঞ্চকর। স্থানীয় গুরুদ্বারাটি প্রায় দুশো বছরের পুরোনো। প্রাচীনকালে দুর্ধর্ষ শকদের আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে এখানকার গুরুদ্বারা রকে আশ্রয় নিতেন স্থানীয় লামারা। এখানেই তাঁরা অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ নিতেন। পরবর্তী সময়ে ব্রিটিশরাও আসতেন এই গুরুদ্বারা রকে। জায়গাটি বেশ, হিমালয়ের বড় একটা অংশের ভিউ পয়েন্ট এই গুরুদ্বারা রক। আকাশ পরিস্কার থাকলে দেখা দেবে ঝলমলে কাঞ্চনজঙ্ঘা। আরেকটু হাঁটাহাঁটি করে চলে আসুন বড় কমলালেবুর বাগানে। পুজোর সময় গাছে গাছে ঝুলবে কমলা, চাইলেই হাত বাড়িয়ে পেরে নিতে পারেন। তবে বাগান মালিকের অনুমতি নেবেন। এই অঞ্চলে ভালো কমলালেবু, স্কোয়াশ চাষ হয়। বেশ কয়েকটি জ্যাম-জেলির কারখানাও আছে, একটু সময় নিয়ে দেখে আসুন সেগুলি। সেটাও একটা বড় পাওনা।

কিছুটা দূরেই রয়েছে চা বাগানের হাতছানি। ফলে তিনচুলে আপনাকে একটা অন্য জগতে নিয়ে যাবে একথা বলাই বাহুল্য। লকডাউন, করোনার ভয়, অফিস ও সংসারের চাপ থেকে কয়েকদিনের ছুটি নিয়ে অনায়াসে চলে আসুন উত্তরবঙ্গে হিমালয়ের কোলে এই ছোট্ট জনপথে। আর হারিয়ে যান প্রকৃতির মাঝে নির্জনতা এবং পাখিদের কলতানে। এছাড়া কাছেপিঠে দেখে আসতে পারেন তাগদা অর্কিড গার্ডেন, লোকাল ফার্মিং, পেশক টি গার্ডেন, লামাহাট্টা, তিনচুলে মানাস্ট্রি এবং তিস্তা আর রঙ্গিতের মিলনস্থল ত্রিবেণী সঙ্গম।

কিভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন?

হাওড়া-শিয়ালদা ও কলকাতা স্টেশন থেকে উত্তরবঙ্গগামী যেকোনও ট্রেন ধরে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছে যান। সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে সোজা তিনচুলে। স্টেশনের বাইরে টুরিস্ট গাড়ি আছে, দরাদরি করে নিতে পারেন। তবে যেখানে থাকবেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে আগেভাগেই গাড়ি বুক করে রাখলে ভালো হয়, এতে ঠকার সম্ভাবনা কম।

তিনচুলে গ্রামে থাকার জন্য় বেশ কয়েকটি হোম স্টে এবং রিসর্ট রয়েছে। এখানে প্রশাসনিক স্তরে ইকো-ট্য়ুরিজম এবং ভিলেজ ট্য়ুরিজমে জোর দেওয়া হচ্ছে। তিনচুলে গেলে খোঁজ করুন গুরুং গেস্ট হাউজ, অভিরাজ হোম স্টে, গুরুংস হোম স্টে, ইস্ট হিমালায়ন হোম স্টে। এছাড়া রয়েছে রাই রিসর্ট।

ঢাকা/মীম

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ