বৃহস্পতিবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান।
বিবৃতিতে মুহিবুল্লাহ বলেন, ‘আমার প্রবল ধারণা প্রশাসনের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা নাস্তিক্যবাদীর এজেন্টরা সরকার এবং হেফাজতের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ও দূরত্ব সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তাদের হীন স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা দেশের জনপ্রিয় আলেম নেতাদের আটকে রেখে তৌহিদী জনতার মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে দেশে গণবিস্ফোরণ ঘটাতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম দেশে কোনো বিশৃঙ্খলা চায় না। একারণে প্রায় এক বছর ধরে রাজপথে কোনো কর্মসূচি না দিয়ে ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। তবে তৌহিদী জনতার পুঞ্জিভূত ক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ হারা হয়ে গণবিস্ফোরণের রূপ নিলে এর দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।’
বিবৃতিতে হেফাজতের আমির বলেন, আলেমরা কোনো অন্যায় অপরাধের সঙ্গে জড়িত নন। তারা মাদরাসায় কুরআন-হাদিসের পাঠদানে মগ্ন থাকেন। মানুষের ঈমান-আকিদা বিশুদ্ধ করণে ওয়াজ-নসিহত করেন। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সর্বসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করেন। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সকল প্রকার অরাজকতা থেকে মানুষকে বিরত রেখে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করেন। কিন্তু ডজন-ডজন মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের কারারুদ্ধ করা হয়েছে। এমন আচরণ ইসলাম ও দেশের জন্য খুবই দুঃখজনক।
তিনি আরও বলেন, করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের থাবায় জনজীবন বিপর্যস্ত। কারাবন্দি আলেম ওলামা ও মুসল্লিদের অনতিবিলম্বে মুক্তি দিয়ে দেশের মসজিদ-মাদরাসা খানকায় পুনরায় ফিরে আসার সুযোগ দিন। অনতিবিলম্বে নায়েবে আলেম-উলামাদের দ্রুত মুক্তি দিন।
ঢাকা/মীম
0 মন্তব্যসমূহ