তবে হ্যা,আপনি নিজ থেকে গুতালে হুদাই ,আপনাকে কামড় দিবে। এটা বাংলাদেশের সবচেয়ে উপকারী সাপ। এটা একমাত্র সাপ বাংলাদেশের যা রাসেল ভাইপারসহ বাংলাদেশের যেকোন বিষাক্ত সাপকে খেয়ে ফেলতে পারে। জীঁ ঠিকই পড়েছেন। এই সাপ রাসেল ভাইপারকেও খেয়ে ফেলতে সক্ষম।
মানুষ ভয়ংকর ভাবে গত দশ বছরে এই সাপটাকে এতো বেশী মেরে ফেলছে যে এটার পরিমান কমে গেছে, ফলে এর খাবার রাসেল ভাইপার বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক দেড় বছরে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় রাসেল ভাইপার পাওয়া গেসে। এবং বন্যার জন্য বর্তমানে এর উৎপাতের মাত্রা বেশ উর্দ্ধমুখী। আজ থেকে পাঁচ বছর আগেও বাংলাদেশে রাসেল ভাইপারের আনাগোনা ছিলো না,ছিলো না এর কোন রিপোর্টিং কেস। কিন্তু বর্তমানে দর্শনীয় স্থানগুলোতে এই সাপের আনাগোনা বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ট্রাভেলারদের কাছ থেকেও ব্যাপক মাত্রায় রাসেল ভাইপারের রিপোর্টিং কেস পাওয়া যাচ্ছে।
ধারণা করা হয় বন্যার পানির সাথে ভারত থেকে আসছে এই টপ গ্রেডেড বিষাক্ত সাপটি। রাসেল ভাইপার এতটাই বিষাক্ত যে এর এক ফোটা টক্সিন দিয়ে কমপক্ষে একশত জনকে মেরে ফেলা যাবে,সময় লাগবে হাতেগোনা কয়েক মিনিট। অর্থাৎ এই সাপ আপনাকে হসপিটালে যাওয়ার সময়টুকুও দিবেনা। বলা বাহুল্য, অন্য সাপ বছরে ১০/১৫ টা ডিম দেয় তবে রাসেল ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া ৪০ থেকে ৬০টি বাচ্চা দেয়। তবে কোনো কোনো চন্দ্রবোড়া সাপের ৭৫টি পর্যন্ত বাচ্চা দেয়ার রেকর্ড আছে।
দয়া করে এই ব্যান্ডেড ক্রেট সাপ টা মারবেন না,এটা উপকারী সাপ। সরকারের উচিত আইন করে এটা মারা বন্ধ করা। আপনার যদি সাপ গুতাইতে বা বিরক্ত করতে ভালো লাগে, রাসেল ভাইপারকে গুতান। এরা আপনাকে ডাইরেক্ট উপরে পাঠায়া দিবে, এই নিরীহ সাপকে গুতাবেন না।
রাসেল ভাইপার মানুষ দেখলেই আক্রমণ করতে পছন্দ করে। অনেকটা লোহা আর চুম্বকের মত। রাসেল ভাইপার পাহাড়ি এলাকার সাপ হলেও এখন বন্যার পানিতে সারা দেশে এদের বংশবৃদ্ধি হচ্ছে। দেশে ইদানীং অনেক মানুষ রাসেল ভাইপারের আক্রমণে মারা যাচ্ছে তার মূল কারন কমন ক্রেইটের সংখ্যা কমে যাওয়া। তাই শঙ্খিনি সাপকে মানুষের বন্ধু ভেবে এদের বংশবৃদ্ধি করতে সহায়তা করুন। অবশ্য আমরা উপকারী গাছই কেটে ফেলি আর এটা তো সাপ।
আসুন একটু ইকোলজিকাল ব্যালান্স নিয়ে চিন্তা করি এবং চারপাশের ইকোলজিকাল ব্যালান্স সংরক্ষন করি। দেখবেন প্রকৃতি আমাকে আপনাকে দুহাত ভরে দিবে।
0 মন্তব্যসমূহ