কেউ কেউ রিক্সা-ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ নাব্যতা হারিয়ে যাওয়া শুকনা নদীতে কৃষি কাজ করছেন। নদীতে চাষাবাদে যেহেতু তেমন কোন প্রকার সার লাগে না। তাই অধিক ফলন লাভের আশায় কৃষকেরা মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার করছেন।
এতে ফলন ভালো হলেও জীব বৈচিত্র হারিয়ে যাচ্ছে। নদী পাড়ের বাসিন্দা মিলন বলেন, এখন তিনি অন্য কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। আগে তিনি তার বাবার সাথে নদীতে মাছ ধরতে যেতেন। এখনো তার ইচ্ছে করে পূর্বের মাছ ধরা পেশায় ফিরে যেতে। তাই তার দাবি নদীটি পুনরায় খনন করা হউক যাতে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী পেশায় ফিরে যেতে পারেন।
ডাঙ্গিপাড়া এলাকার নদীপাড়ের বাসিন্দা বাবু বলেন, এক সময় এই নদীর পানি দিয়ে সারা বছর চাষাবাদ করা যেত। এই নদীর পানি দিয়ে বোরা চাষ করা হত।
বর্তমানে এই নদীর বুকে ইরি ধান চাষ করা হচ্ছে।
এই ব্যাপারে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, এক সময় জেলেরা সারা বছর এই নদীতে মাছ ধরত। খুবই জমজমাট ছিল নদী পাড়ের মানুষের জীবন।
কিন্তু পলি পড়ে নদীর বুক উঁচু হওয়ায় চাষাবাদে মেতে উঠেছেন স্থানীয় লোকজন। এইসব জমিতে চাষাবাদ করে বছরে প্রায় ৪/৫ মাসের খাবার যোগাড় করেন।
নদী খননের বিষয়ে জানতে চাইলে নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপপ্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সারা দেশের নদী খননের একটি প্রস্তাবনা মন্ত্রনালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকাতে ছোট যমুনা নদীর নামও আছে। তিনি আশা করেন, প্রস্তাবনাটি পাশ হলেই তারা খননের কাজ শুরু করবেন যাতে নদীর নাব্যতা ফিরে আসে।
0 মন্তব্যসমূহ