নিহত সাইফুল ইসলাম কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার চাপড়া কবুরাট গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তিনি ওই ফাঁড়িতে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
প্রাথমিক তদন্তের তথ্যের ভিত্তিতে ওসি হাশেম বলেন, “সাইফুলের কাছে সার্ভিস রাইফেল ছিল। দেখে মনে হয়েছে, সাইফুল সেই রাইফেল ঠেকিয়ে নিজের মাথায় গুলি করেন।”
গুলির শব্দ শুনে ফাঁড়ির অন্য সদস্যরা গিয়ে মৃতদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ওসি বলেন, “সাইফুল পারিবারিক হতাশা থেকে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
সাইফুলের মরদেহ মেহেরপুর সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে তার গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হবে বলে জানান ওসি।
সাইফুলের স্ত্রী ফরিদা খাতুন বলেন, ‘সাইফুলের কর্মব্যস্ততার কারণে’ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার দেখা-সাক্ষাৎ কম হত। “তাছাড়া পরিবার নিয়ে নানান দুশ্চিন্তা ছিল। তবে কেন এভাবে নিজের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করল তা জানি না। ঘটনার পরপরই পুলিশ মৃত্যুর খবর দেয় আমাকে।”
সাইফুলের সহকর্মীরা জানান, করোনাভাইরাস মহামারীতে দায়িত্বের চাপ বেড়েছে। তার ওপর পরিবারের সঙ্গে অনেক দিন দেখা-সাক্ষাতের সুযোগ হচ্ছিল না তার। সাইফুল কম কথা বলতেন। তাকে মাঝেমধ্যেই হতাশাগ্রস্ত বলে মনে হত। তবে তিনি এমন পথ বেছে নিতে পারেন, তা কেউ ধারণা করতে পারেননি।
0 মন্তব্যসমূহ