সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

বিদেশি ক্রেতাদের কার্যাদেশ বাতিলের আশঙ্কা করছে বিজিএমইএ।। বিডি নিউজ.ইন।। BD News.in


মোঃ আলী হোসেন, ঢাকা মহানগর প্রতিনিধিঃ
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার কর্তৃক ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনের মধ্যে পোশাক কারখানাসমূহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে বাণিজ্যিক কর্মকর্তাসহ শ্রমিকদের অনুপস্থিতির কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানিকৃত পণ্য চালান খালাস করা সম্ভব হচ্ছে না

ঈদুল আজহার ছুটি পরবর্তী চলমান লকডাউনে গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানিকৃত পণ্য খালাস নিতে পারছেন না গার্মেন্টস মালিকরা। এ কারণে তারা রপ্তানি আদেশ বাতিলের আশংকা করছেন। 

পোশাক শিল্পের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আজ রোববার (২৫ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রামস্থ পোশাক শিল্প মালিকদের ভার্চুয়াল এক জরুরি সভায় এমন আশংকার কথা জানান পোষাক শিল্প মালিকরা। 

বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য তথা তৈরি পোশাক শিল্পকে সমূহ বিপর্যয় থেকে রক্ষার জন্য আগের মতো করে চলমান লকডাউনের মধ্যেও কারখানা চালু রাখার অনুমতি দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান বিজিএমইএ নেতারা। 

বিজিএমইএ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

সভায় বিজিএমইএ- এর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, "করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার কর্তৃক ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনের মধ্যে পোশাক কারখানাসমূহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে বাণিজ্যিক কর্মকর্তাসহ শ্রমিকদের অনুপস্থিতির কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানিকৃত পণ্য চালান খালাস করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়াও, রপ্তানির জন্য অর্ধপ্রস্তুতকৃত তৈরি পোশাক ফিনিশিংসহ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন না করা এবং ক্রেতার প্রতিনিধি কর্তৃক পণ্যের গুণগতমান পরীক্ষা করতে না পারার কারণে নির্ধারিত লিডটাইমের মধ্যে জাহাজীকরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে উক্ত রপ্তানি আদেশ বাতিল, স্থগিত, ডিসকাউন্টসহ এয়ার শিপমেন্ট-এর আশংকা দেখা দিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, "আগামী আগষ্টের ৭ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে জুলাই মাসের শ্রমিকদের বেতন পরিশোধে বিলম্ব হলে শ্রম অসন্তোষের আংশকা রয়েছে। ফলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ বিপুল আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়ে রুগ্ন শিল্পে পরিণত হবে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে উক্ত সভায় বিজিএমইএ'র সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক মোহাম্মদ আবদুস সালাম, এমডি.এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী, তানভীর হাবিব, এ.এম. সফিউল করিম (খোকন), মোঃ হাসান (জ্যাকি), এম. আহসানুল হক, মিরাজ-ই-মোস্তফা (কায়সার), প্রাক্তন প্রথম সহ-সভাপতি নাসিরউদ্দিন চৌধুরী, মঈনউদ্দিন আহমেদ (মিন্টু), প্রাক্তন সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ফেরদৌস, এ.এম. চৌধুরী সেলিম, প্রাক্তন পরিচালকবৃন্দসহ পোশাক শিল্পের অনেক মালিক ও উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন।

সেখানে আরও বক্তব্য দেন,  বিজিএমইএ- এর প্রাক্তন পরিচালক মোহাম্মদ মুসা, হাসানুজ্জামান চৌধুরী, আবদুল মান্নান রানা, অঞ্জন শেখর দাশ, খন্দকার বেলায়েত হোসেন, এনামুল আজিজ চৌধুরী সহ বিভিন্ন পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকবৃন্দ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ