কয়েকজন প্রধান শিক্ষক শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) জানিয়েছেন, তাদের ডেকে নিয়ে ভোট চলাকালে প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। খবর- সমকালের
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব হুমায়ুন কবির খোন্দকার বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। সাধারণভাবে নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ভোট কেন্দ্র সম্পূর্ণ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার। তবে এসব সিসিটিভি ক্যামেরা কারা কী উদ্দেশ্যে লাগিয়েছে, কাদের নিয়ন্ত্রণে তা আগে দেখতে হবে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে না থাকলে কর্মকর্তারা সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ করতে বলবে, এটিই স্বাভাবিক।
জানা যায়, সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আগে থেকেই লাগানো।
বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নেওয়ার পর সচিব জানান, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে খবর নিয়েছেন। জানতে পেরেছেন, সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত ছাড়া ভোট কেন্দ্রে সিটিটিভি ক্যামেরা থাকতে পারে না। তাই বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
এগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ সম্পর্কে রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তারের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। আগের দিনের মতো শুক্রবারও বারাবার চেষ্টা করে তার সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভোট কেন্দ্র করা হয়েছে এবং যেসব প্রতিষ্ঠানে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে সেগুলো ভোটের দিন বন্ধ রাখতে গত মঙ্গলবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ আদর্শ স্কুলের প্রধান শিক্ষক আজিজুর রহমান বলেন, তিন দিন আগে আমাদের ডেকে নিয়ে সিসি ক্যামেরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ হিসেবে তারা বলেছেন, অনেক ক্ষেত্রে বুথের ওপর সিসিটিভি ক্যামেরা থাকতে পারে। এতে ভোট দেওয়ার ভিডিও রেকর্ড হবে। পরে কারও হাতে এসব ভিডিও চলে গেলে সমস্যা হতে পারে। তাই সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য শুক্রবার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে সিটি করপোরেশনের ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে এবং ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোট ১৮৭টি ভোট কেন্দ্রে মোট ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৭ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৪ জন, মহিলা ভোটার ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১৯ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৪ জন। এ নির্বাচনে ইভিএমে ভোট দিবেন ভোটাররা।
এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আওয়ামী লীগ মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আলী আহাম্মদ চুনকা কন্যা ডা. সেলিনা হায়াত আইভী। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা হাতি প্রতীকের অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। অবশ্য মেয়র পদে আরও চার প্রার্থী এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারাও কম বেশি প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন।
ঢাকা/মীম
0 মন্তব্যসমূহ