সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

মধ্য মাঘে শীতের কামড়, আজ তাপমাত্রা নেমেছে ৭ ডিগ্রিতে।।BDNews.in


বিডি নিউজ ডেস্কঃ শীতকালে বৃষ্টিপাতের পর উত্তরাঞ্চলে আবারও জেঁকে বসেছে শীত। মাঘের শুরুতে শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়া দিনাজপুরে মাঘের মাঝামাঝিও শৈত্যপ্রবাহের আধিক্য। এ ছাড়া পঞ্চগড়, কুড়িগ্রামসহ দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় বিরাজ করছে এ হাড়কাঁপানো শীত।

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) ভোর থেকে দিনাজপুরে শৈত্যপ্রবাহের বাতাস আর ঘন কুয়াশার কারণে বেশ বেকায়দায় পড়েছে কর্মজীবী মানুষ। শীতের পাশাপাশি কুয়াশা বেশি হওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি। এতে দূরপাল্লার পরিবহন চলছে ধীরগতিতে।

এদিকে মাঘের মাঝামাঝি তীব্র শীতে কাবু হয়ে পড়েছে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের জনপদ। বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, আজ সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলায় মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা আরও দুই-একদিন বিরাজ করতে পারে। হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ।

এদিকে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এ জেলার মানুষজন। বোরা চারা রোপণের ভরা মৌসুম চলায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন কৃষি শ্রমিকরা। কনকনে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে মাঠে কাজ করছেন তারা।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের কৃষি শ্রমিক মমিন জানান, এ সময়টা বোরো চারা রোপণের সময়। বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঠাণ্ডার মাত্রা একেবারেই বেড়ে গেছে। এজন্য খুব কষ্ট করে কাজ করতে হচ্ছে।

বিপাকে পড়েছেন অন্যান্য শ্রমজীবিরাও। গরম কাপড়ের অভাবে কাজে বের হতে কষ্ট হচ্ছে তাদের।

কুড়িগ্রাম জেলা শহরের রিকশাচালক আলম জানান, এ বছরের সবচেয়ে বেশি ঠাণ্ডা পড়েছে। হাতপা পর্যন্ত বের করা যাচ্ছে না। দিনের বেলা কোন রকমে চলাফেরা করা গেলেও সন্ধ্যা নামার আগেই বেড়ে যাচ্ছে কনকনে ঠাণ্ডার মাত্রা।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক অফিস সূত্র জানায়, জেলার ৯ উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি ভাবে প্রায় ৮০ হাজার কম্বলসহ অন্যান্য শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।

ঢাকা/মীম

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ