সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

কেটেছে শৈত্যপ্রবাহ, দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু।।BDNews.in


বিডি নিউজ ডেস্কঃ শৈত্যপ্রবাহ কেটে গিয়ে দেখা দিয়েছে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির জানিয়েছেন, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। আর মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে। এই অবস্থায় শুক্রবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) দেশের বিভিন্ন স্থানে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা দিনাজপুর। জেলায় ভোর রাত থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিপাকে পড়েছেন এখানকার আলুচাষিরা। জেলায় সকালে বৃষ্টির পরিমাণ রেকর্ড করা হয়েছে ৭.২ মিলিমিটার।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভোর থেকেই অঝোরে বৃষ্টি পড়ছে। এতে রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচ কমেছে। তবে নিম্ন আয়ের মানুষ কাজের সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ভাড়া না পেয়ে দাঁড়িয়ে আছে রিকশা-ভ্যানচালকরা। আলুর ক্ষেতগুলোতে পানি জমে যাওয়ায় পচে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মৃদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ কেটে গেলেও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। 

একে হাড়কাঁপানো শীত। তার ওপর শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া গুঁড়ি গুঁড়ি উত্তরের জনপদ লালমনিরহাটের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছেন নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা।

মৌসুমের শুরুতে শীতের তেমন প্রকোপ না থাকলেও, মাঘ মাসের মাঝামাঝি সময়ে এসে হিমালয় থেকে আসা শৈত্যপ্রবাহে উত্তরাঞ্চলের জনজীবন এক প্রকার বিপর্যস্ত ছিল। এখন বৃষ্টি শুরু হওয়ায় জেলার দুস্থ ব্যক্তিরা আরও বেশি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তাদের জন্য ঘর থেকে বাইরে বের হওয়াটাই দুষ্কর হয়ে পড়েছে। মাঠে যেতে পারছেন না কৃষি শ্রমিকরা।

শুক্রবার ভোর থেকেই বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে চলছে লাগাতার বৃষ্টি। ছুটির দিনেও কাজের সন্ধানে বের হওয়া খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। এদিন রাজশাহী আবহাওয়া অফিস শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১০ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক দেবল কুমার মৈত্র জানান, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটায় বৃষ্টি শুরু হয়। তখন ১ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। সকাল ৭টা ২০ মিনিট থেকে আবার শুরু হয়। সকাল ৯টা পর্যন্ত মোট ১০ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি বলেন, ‘আজ সারাদিন বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। আকাশের মেঘ কেটে গেলে তাপমাত্রা আবারও কমবে। তখন শীত বাড়বে।’

উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামেও বৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া শৈত্যপ্রবাহের পর পাবনাতেও শুরু হয়েছে বজ্রসহ বৃষ্টি। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে জেলার কোথাও হালকা কোথাও বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হয়।

ঢাকা/মীম

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ