সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

রমজান মাসের ৩০ দিনের ৩০ ফজিলত।।BDNews.in


মোঃ এমদাদুল হক, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধিঃ রমজান মাসে শয়তানকে শিকল দিয়ে  বন্ধ করা হয়,জাহান্নামকে তালা লাগানো হয় এবং জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয়।   রমজানে প্রতিদিন কি কি আমল করা যায় তা  নিম্নে আলোচনা করা হলো।

৩০ টি রোজার কতো বড় ফজিলত শুনলে আপনি অবাক হয়ে যাবেনঃ

১ প্রথম রোজার দিন নবজাতকের মতো নিষ্পাপ করে দেওয়া হয়। 

২ দ্বিতীয় রোজার দিন রোজাদারদের মা বাবাকে মাফ করে দেওয়া হয়। 

৩ তৃতীয় রোজার দিন একজন ফেরেশতা আবারও রোজাদারদের ক্ষমার ঘোষণা দেয়। 

৪ চতুর্থ রোজার দিন রোজাদারদের কে আশমানি ৪ কিতাবের বর্ন সওয়াব দেওয়া হয়। 

৫ পঞ্চম রোজার দিন মক্কা নাগরি মসজিদে হারামে নামাজ আদায়ের সওয়াব দেওয়া হয়। 

৬ ষষ্ঠ  রমজানে ফেরেশতাদের সাথে ৭ তম আকাশ অবস্থিত বাইতুল ক্ষামূর তাওয়াফের  সওয়াব প্রধান করা হয়। 

৭ সপ্তম রমজানের ফেরাউনের বিরুদ্ধে মূসা ( আঃ )  এর পক্ষে সহযোগিতা করার সমান সওয়াব প্রধান করা হয়। 

৮ অষ্টম রমজানে রোজাদারের উপর হজরত ইবরাহীম ( আঃ )  এর মতো রহমত বর্ষিত হয়। 

৯ নবম রমজানে নবী রাসূলদের সাথে দাড়িয়ে ইবাদতের সমান সওয়াব দেওয়া হয়। 

১০ দশম রমজানে রোজাদারকে উভয় জাহানের কল্যন দান করা হয়। 

১১ তম রমজানে রোজাদারের মৃত্যু নবজাতকের ন্যায় নিষ্পাপ নিশ্চিত হয়। 

১২ তম রমজানে হাশরের ময়দানে রোজাদারের চেহারা পূর্ণিমার চাঁদের মতো উজ্জ্বল করা হবে। 

১৩ তম রমজানে হাশরের ময়দানে সকল বিপদ থেকে নিরাপদ করা হবে। 

১৪ তম রমজানে হাশরের ময়দানে হিসাব নিকাশ সহজ করা হবে। 

১৫ তম রমজানে সমস্ত ফেরেশতারা রোজাদারের জন্য দোয়া করে। 

১৬ তম রমজানে আল্লাহ পাক রোজাদারকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং জান্নাতের প্রবেশের অনুমতি প্রধান করেন। 

১৭ তম রমজানে একদিনের জন্য নবীগনের সমান সওয়াব দেওয়া হবে। 

১৮ তম রমজানে রোজাদার এবং তাঁর মা বাবার প্রতি আল্লাহর সন্তুষ্টির সওয়াব দেওয়া হয়। 

১৯ তম রমজানে পৃথিবীর সকল পাথর- কংকর টিলা- টংকর রোজাদারের জন্য দোয়া করতে থাকে। 

২০ তম রমজানে আল্লাহর পথে জীবন দানকারী শহীদের সমনে সওয়াব প্রধান করা হবে। 

২১ তম রমজানে রোজাদারের জন্য জান্নাতে একটি উজ্জ্বল প্রাসাদ নির্মাণ করা হয়। 

২২ তম রমজানে হাশরের ময়দানে সকল চিন্তা থেকে মুক্তি করা হয়। 

২৩ তম রমজানে জান্নাতে রোজাদারের জন্য একটি শহর নির্মাণ করা হয়। 

২৪ তম রমজানে রোজাদারের যেকোনো ২৪ টি দোয়া কবুল করা হয়। 

২৫ তম রমজানে কবরের শাস্তি চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হয়। 

২৬ তম রমজানে চল্লিশ বছর ইবাদতের সমান সওয়াব প্রধান করা হয়। 

২৭ তম রমজানে চোখের পলকে পুলসিরাত পার করে দেওয়া হয়। 

২৮ তম রমজানে জান্নাতের নেয়ামত দ্বিগুণ করা হয়। 

২৯ তম রমজানে এক হাজার কবুল হজ্জের সওয়াব প্রধান করা হয়।  

৩০ তম রমজানে পুরো রমজানের ফযিলত দ্বিগুণ করা হয়। 

কোরআন নাজিলের মাসে রমজানের হক বুঝে আমল করার তৈফিক দান করুক, আমিন। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ