সোমবার সকাল সাড়ে নয়টায় দিকে উপজেলার সদকী ইউনিয়নের ২৭নং মালিয়াট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখাযায়, ওই বিদ্যালয়ের সকল শ্রেণীকক্ষে তালা ঝুলছে। আর শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের বারান্দাসহ বাহিরে দৌড়াদৌড়ি করছে। এ সময় শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানাযায়, তাদের বিদ্যালয়ের পিয়ন কাম নৈশ্যপ্রহরি এবং শিক্ষকেরা আসেননি। তাই তারা শ্রেণীকক্ষে ঢুকতে পারছে না।
এ বিষয়ে সকাল ৯.৪০ মিনিটে ওই বিদ্যালয় চত্বর থেকেই উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে অবগত করা হলে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান। সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটে বিদ্যালয়ের পিয়ন কাম নৈশ্যপ্রহরি বিদ্যালয়ে এসে তালা খুলে দিলে শিক্ষার্থীরা শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করে। আর প্রধান শিক্ষক আসেন পৌনে ১০টায় এবং দুইজন সহকারি শিক্ষক ৯টা ৪০ ও ৯টা ৪৬ মিনিটে। এ সময় মালিয়াট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ হোসেন বলেন, তিনি তাঁর ছেলের টিকা দেওয়ার ব্যাপারে জানতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। এ জন্য আসতে কিছুটা দেরি হয়েছে। এ সময় বিদ্যালয়ের পিয়ন ও সহকারি শিক্ষকদের দেরিতে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছুই বলার নেই, একটু দেরিতো হতেই পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের এই বিদ্যালয়ে শিক্ষককেরা আসেন নিজেদের ইচ্ছেমতো। শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে আসা এবং চলে যাওয়া দেখলে মনে হয় তাদের দেখার বুঝি কেউ নেই। এ ব্যাপারে ক্লাষ্টারের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারি শিক্ষা অফিসার সেলিনা পারভীন বলেন, নির্ধারিত সময়ের পরে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হওয়ায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ সহকারি শিক্ষকদের কাছে কৈফিয়ত তলব করে নোটিশ দেওয়া হচ্ছে।
0 মন্তব্যসমূহ