সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

কুমারখালীতে বিষাক্ত রং মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে রং মিশ্রিত আইসক্রিম।।BDNews.in


বিডি নিউজ ডেস্কঃ খাদ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিষেধকে অমান্য করে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর আগ্রকুন্ডা নামক স্থানে আশা আইসক্রিম ও পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড সেরকান্দীতে সোহেল আইসক্রিম কারখানায় নিম্নমানের উপকরণ ও ক্ষতিকারক রং মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে সকাল সন্ধ্যা ও চকবার আইসক্রিম। কোমলমতি শিশুদের লক্ষ্য করে তৈরি করা এসব সস্তা আইসক্রিম রং বেরঙের প্যাকেটে করে বিক্রি হচ্ছে পাড়া মহল্লার দোকানে। আইসক্রিম নামের এ বিষে দীর্ঘমেয়াদে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শিশুরা। কুমারখালীতে অন্তত ৭ টি আইসক্রিম কারখানা রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কুমারখালীতে ফ্যাক্টরির অধিকাংশই নিম্নমানের সস্তা কুলফি আইসক্রিম তৈরি করছে। কারখানাগুলোতে পাঁচ থেকে দশ টাকা মূল্যের চকবার,সকাল সন্ধ্যা (দুই রং মিশ্রিত), দুধ কুলফি, দই কুলফি,অরেঞ্জ কুলফি, লিচু কুলফি তৈরি হয়। সস্তা দামের এ আইসক্রিম তৈরিতে নিম্নমানের ফুড কালার ও অত্যন্ত ক্ষতিকর উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে। আইসক্রিম তৈরির জন্য যে সব উপকরণ ব্যবহার করা হয় তাও স্বাস্থ্যসম্মত না। আইসক্রিম তৈরির সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পানিও দূষিত। কারখানার ভেতরের নোংরা পরিবেশে মশা, মাছি ঘুরছে অবাধে।

আইসক্রিম তৈরিতে দুধ, চিনি, ঘনচিনি, কর্ন ফ্লাওয়ার, স্টাবিলাইজার, ফ্লেভার, ফুড কালার ও পানি ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে ২/৫ টাকা দামের আইসক্রিমে যে ফুড কালার ব্যবহার করা হয়, তা খাদ্য বা আইসক্রিমে ব্যবহারের অনুমোদন আছে কিনা জানে না বেশিরভাগ আইসক্রিম উৎপাদনে সংশ্লিষ্টরা। দূষিত, নোংরা, অসাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হয় এসব আইসক্রিম।

সূত্র মতে জানা যায়, চকবার আইসক্রিম করা হচ্ছে বিষাক্ত রং দিয়ে,সকাল সন্ধ্যা ( এক আইসক্রীম দুই রংয়ের) রোবো,রোবোট যে রং ব্যবহার করা হয় তা শিশুরা স্বাস্থ্য ঝুকিতে পরে আর নিম্নমানের এ আইসক্রিমগুলোর অধিকাংশই তৈরি হয় রাতের আঁধারে। অনেকে সকাল হওয়ার আগেই তা ফ্যাক্টরির বাইরে বের করে দেন। যাতে কোনো ধরনের অভিযান হলেও তারা ধরা না পড়েন।

রং মিশ্রিত আইসক্রিম তৈরীতে এগিয়ে আছে কুমারখালী আগ্রাকুন্ডার আশা আইসক্রিম। কারখানার মালিক সবুর ফুড কালার বা নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের কথা অস্বীকার করে বলেন, কেউ কেউ ঐসব উপকরণ বা ফুড কালার ব্যবহার করতে পারে, কিন্তু আমি করি না। দিনে আইসক্রিম কারখানায় উপস্থিত হয়ে কালারিং আইসক্রিম দেখা যায়নি। কিন্তু রাতের আধাঁরে তৈরী করার সময় গোপনমাধ্যমে ছবি তোলা হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য, কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকার সচেতন মহল। গত ২৪ জুলাই রবিবার কুমারখালী খাদ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও সেনেটারী ইন্সপেক্টরহ সকল আইসক্রিম কারখানার মালিকদের সাথে এক রুদ্ধদার বৈঠকে কৃত্রিম রং মিশিয়ে কোন আইসক্রিম তৈরী করা যাবেনা বলে নিষেধ করা হয়। 

সকল আইসক্রিম কারখানার মালিক কৃত্রিম রং মিশ্রিত আইসক্রিম তৈরী করবেনা বলে অঙ্গীকার করে। কিন্তু সেই নিষেধকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে আশা ও সোহেল আইসক্রিম কারখানার মালিকদ্বয় কৃত্রিম রং মিশ্রিত সকাল সন্ধ্যা ও চকবার তৈরী করে বাজারে বিক্রি করছে। সুচতুর আইসক্রিম মালিকদ্বয় ঠিক সন্ধ্যা লাগার সাথে সাথে উক্ত আইসক্রিম তৈরী করছে। তারা জানে এই সময় অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যায়। এই কোন অফিসই অভিযানে বের হবেনা। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী মহল।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ