সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

কুড়িয়ে পাওয়া টাকা মালিককে ফেরত দিলেন শিক্ষা কর্মকর্তা।।BDNews.in

কুমারখালীতে কুড়িয়ে পাওয়া টাকা মালিককে ফেরত দিলেন উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম।

গোলাম সরোয়ার, কুমারখালী প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কুড়িয়ে পাওয়া ১৮ হাজার টাকা প্রকৃত মালিককে ফেরত দিলেন এক শিক্ষা কর্মকর্তা। আজ সোমবার সকালে নিজ কার্যালে যাচাই বাছায় শেষে মালিককে টাকা ফেরত দেওয়া হয়।

ওই কর্মকর্তার নাম মো. শরিফুল ইসলাম। তিনি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। আর কুড়িয়ে পাওয়া টাকার মালিক মো. মিজানুর রহমান। তিনি উপজেলার পাথরবাড়ীয়া হিজলাকর দাখিল মাদ্রাসার সুপার।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, গত রোববার দুপুরে উপজেলা প্রাথমিক সহকারি কর্মকর্তার কার্যালের সুপার ওপর একটি টাকার বান্ডিল পড়ে ছিল। ওই কর্মকর্তা বান্ডিলটি হাতে নিয়ে দেখে ১৮ হাজার টাকা। পরে কুড়িয়ে পাওয়া টাকার প্রকৃত মালিকের সন্ধানে ব্যক্তিগত ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সন্ধায় ফেসবুকে টাকার বিজ্ঞপ্তি কর্মকর্তাকে ফোন দেন মাদ্রাসার সুপার।

এরপর আজ সোমবার সকালে ওই কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসেন মাদ্রাসার সুপার। উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ দেখালে সুপারের হাতে টাকা তুলেন উপজেলা জ্যেষ্ঠ প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান। গত রোববার সকালে বিশেষ কাজে উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসার সুপার গণকে শিক্ষা কার্যালে ডাকা হয়েছিল।

এব্যাপারে পাথরবাড়ীয়া হিজলাকর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ' রোববার এমাসের বেতনের টাকা তুলেছিলাম। একটি বিশেষ কাজে শিক্ষা কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। কিছু সময় সুপায় বসে ছিলাম। এরপর বিকেলে বাড়ি ফিরে দেখি পকেটে টাকা নেই। অনেক খোঁজাখুজি করেও কোথাও পাচ্ছিলামনা। ভিশন খারাপ লাগছিল। পরে ফেসবুকে টাকার সন্ধান পাই। তথ্য প্রমাণ দেখিয়ে আজ হারানো টাকা ফিরে পেয়েছি।'

তিনি আরো বলেন, ' টাকা পেয়ে খুবই আনন্দিত। আজকাল হারানো টাকা ফিরে পাওয়া দুষ্কর ব্যাপার। ওই কর্মকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।'

উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ' গতকাল দুপুরে অফিসের সুপার ওপর থেকে ১৮ হাজার টাকা পেয়েছিলাম। প্রকৃত মালিককের সন্ধানে ফেসবুকে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলাম। এরপর ওইদিন সন্ধায় মাদ্রাসার সুপার মিজান সাহেব ফোনে তাঁর টাকা হারানোর কথা জানিয়েছিল। আজ সকালে প্রমাণ দেখিয়ে তিনি টাকা নিয়ে যান। প্রকৃত মালিককে টাকা ফিরিয়ে দিতে পেরে আমি আনন্দিত।'

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ' শরিফুল সাহেব একজন সৎ, বিনয়ী, দক্ষ ও পরিশ্রমী অফিসার। কুড়িয়ে পাওয়া টাকা মালিককে ফিরিয়ে তিনি সততার পরিচয় দিয়েছেন। আমরা তাঁকে নিয়ে গর্বিত।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ