সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

৬৫ বছর আগে কেনা বাড়িতে এখনও বসবাস করছেন বিলিয়নিয়ার ওয়ারেন বাফেট।।BDNews.in


বিডি নিউজ ডেস্কঃ
ফোর্বসের ২০২৩ সালের তালিকা অনুযায়ী তিনি বিশ্বের পঞ্চম ধনী ব্যক্তি। এই মুহূর্তে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১০৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিন্তু তবুও নিজের মিতব্যয়ীতার জন্য সুপরিচিত আমেরিকান বিজনেস ম্যাগনেট, বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের চেয়ারম্যান ও সিইও ওয়ারেন বাফেট। এমনকি ৯২ বছর বয়সী এই বিলিয়নিয়ার এখনও তার ৬৫ বছর আগে কেনা বাড়িতেই বসবাস করছেন!

যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কার ওমাহাতে পাঁচ বেডরুমের এই বাড়িটি ১৯৫৮ সালে ওয়ারেন বাফেট কিনেছিলেন ৩১ হাজার ৫০০ ডলার দিয়ে, বর্তমানে যা ৩ লাখ ২৯ হাজার ৫০৫ ডলার!

ওয়ারেন বাফেটের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির কর্মী বেকি কুইকের। প্রায়ই বাফেটের নানা সাক্ষাৎকার নিয়ে থাকেন তিনি। তিনি এই বিলিয়নিয়ারের সম্পর্কে বলেন, "উনি একজন প্রকৃত মানুষ। তার এই অকৃত্রিমতার সাথে আর কারো তুলনা হয় না, কারণ তিনি মুখে সেভাবেই জীবনযাপন করেন।"

ওয়ারেন বাফেট নিজের এই বাড়িটিকে সবচেয়ে ভালো একটি স্থান বলে মনে করেন। ২০১০ সালে নিজের শেয়ারহোল্ডারদেরকে পাঠানো এক চিঠিতে বাফেট বলেন, এই বাড়িটিই তার জীবনের তৃতীয় সেরা বিনিয়োগ। (তার শীর্ষ দুই বিনিয়োগ- বিয়ের আংটি)

ওয়ারেন বাফেটের নেব্রাস্কার বাড়িটি ৬৫৭০ বর্গফুটের। বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের কর্পোরেট সদর দপ্তর থেকে তার বাড়িটি মাত্র পাঁচ মিনিটের দূরত্বে। ১৯২১ সালের আসল কাঠামোগত নকশাতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে এ বাড়িতে। জিলো'র আনুমানিক হিসাবে বাড়িটির বর্তমান বাজারমূল্য ১.২ মিলিয়ন ডলার।

তবে খুব শীঘ্রই নিজের প্রিয় বাড়ি বিক্রি করে আরও বিলাসবহুল কোনো বাড়িতে ওঠার পরিকল্পনা নেই বাফেটের। ২০০৯ সালে বিবিসির ইভান ডেভিসকে তিনি বলেছিলেন, "আমি এখানেই সুখে আছি। আমার যদি মনে হয় অন্য কোথাও গিয়ে আমি আরও সুখ পাব, ভাল থাকবো- তখন এই বাড়ি ত্যাগ করবো। এই বাড়িতে সবকিছু ঠিকঠাক আছে। শীতকালে এখানে থাকলে উষ্ণ বোধ হয়, আমার গ্রীষ্মকালেও থাকার উপযোগী। আমি এর চাইতে ভালো কোনো বাড়িতে থাকার কথা ভাবতে পারি না।"

ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ারস ইনডেক্স অনুযায়ী, ১০৬ বিলিয়ন ডলারের চোখ ধাঁধানো সম্পত্তির মালিক হলেও ওয়ারেন বাফেট খুব খরুচে ব্যক্তি নন। খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, ২০২০ সালে তিনি নিজের পুরনো বিশ ডলারের ফ্লিপ ফোন পাল্টে একটি আইফোন ১১ কিনেছেন। যদিও বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের সবচেয়ে বড় একটি হোল্ডিং অ্যাপল, তবুও বছরে বছরে আইফোনের মডেল বদলাননি তিনি।

এখানেই শেষ নয়, নিজের সকালের খাবারের পেছনেও কোনোদিন ৪ ডলারের বেশি খরচ করেন না ওয়ারেন বাফেট। বাড়ি থেকে অফিসে যাওয়ার পাঁচ মিনিটের পথে তিনি সাধারণত ম্যাকডোনাল্ড'স থেকে প্রতিদিন একই নাস্তা কিনে নেন। ২.৬১ ডলারে দুটি সসেজ প্যাটি অথবা ২.৯৫ ডলারে একটি ডিম, সসেজ ও পনির অথবা ৩.১৭ ডলারে একটি বেকন, ডিম বা পনির- এই তিনটি আইটেম থেকেই যেকোনো একটি বেছে নেন তিনি নাস্তার জন্য।

২০১৭ সালে এইচবিওর প্রামাণ্যচিত্র 'বিকামিং ওয়ারেন বাফেট'-এ তিনি জানিয়েছিলেন কিভাবে শেয়ারবাজারের ওঠানামা তার নাস্তার আইটেম নির্ধারণে প্রভাব ফেলে।

ওই প্রামাণ্যচিত্রে তিনি বলেছিলেন, "৩.১৭ ডলারে একটি বেকন, ডিম ও পনির পাওয়া যায়...কিন্তু দেখা গেল আজ সকালে শেয়ারবাজার নিম্নমুখী; তখন আমি এটার বদলে ২.৯৫ ডলারে আইটেমটা নেই।" 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ