সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

কালকিনিতে চিকিৎসক রিয়াজ রহমানের বিরুদ্ধে নানান অনিয়মের অভিযোগ।।BDNews.in


মো: আলি হোসেন, ঢাকা মহানগর প্রতিনিধি: মাদারীপুর কালকিনিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রকৃত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিতরোগীরা মাদারীপুর কালকিনিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-আয়ের মানুষের চিকিৎসা সেবার অন্যতম ভরসাস্থল ৫০ শয্যা বিশিষ্ট  কালকিনি  হাসপাতাল।এ হাসপাতালে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে ও কতিপয় ডাক্তারদের স্বেচ্ছাচারিতায় ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। আবার কিছুদিন পরপর যেসব যন্ত্রপাতি আছে তা অচল হয়ে যায়। ফলে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হয়। 

এই সুযোগে কমিশনভোগী এক শ্রেণির অসাধু চিকিৎসক রোগীদের রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষার জন্য বাইরের বেসরকারি ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে পাঠিয়ে নিজেদের পকেট ভারি করে চলেছেন।হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগে প্রতিদিন কয়েক শত রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসে। শুধু কালকিনি উপজেলা নয়,পাশের উপজেলা গৌরনদী ও ডাসার উপজেলা ও কালকিনি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসে।ছোট খাট সমস্যা নিয়ে রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসলে তাদেরকে বরিশাল, মাদারীপুর ও ঢাকায় রেফার করে।জরুরী বিভাগে চিকিৎসা না দিয়ে রোগীদেরকে ছোটখাটো ক্লিনিকে,ডায়াগনস্টিকে যেতে বলে এখানে টাকার বিনিময়ে কতিপয় ডাক্তাররা চিকিৎসা প্রদান করে।রোগীরা  কেবল চিকিৎসক দেখানো ছাড়া ডায়াগনোস্টিক পরীক্ষা বা অন্য কোন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না।

ভুক্তভোগী ইলিয়াস হোসেন সকালের সময়কে বলেন আমি গত ০৮/০৫/২৩ তারিখ রাত৩.১৫ মিনিটে আমার অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে জরুরী বিভাগে যাই সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ জিএম রিয়াজ রহমান কোন প্রকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই আমাকে মাদারীপুর হাসপাতালে রেফার করে মাদারীপুরের দায়িত্ব রত চিকিৎসক আমার স্ত্রীকে দেখে বলে আপনার স্ত্রীর কোন সমস্যা নেই। এভাবেই প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার  হচ্ছে সাধারণ রোগীরা। তাছাড়া হাসপাতালের ভিতরে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালালদের কারনে হয়রানির শিকার হচ্ছে রোগীরা। হাসপাতালে ডিজিটাল এক্সরে মেশিনে রোগীর এক্স-রেসহ নামমাত্র কিছু রক্ত পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া অন্যান্য উন্নত পরীক্ষার জন্য নেই সিটিস্ক্যান, এমআরআই, আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন।ডিজিটাল এক্সরে মেশিন থাকার পরও চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের দুই-তিন গুণ বেশি অর্থ ব্যয় করে বেসরকারি ডায়াগনোস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হচ্ছে।

হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রায় প্রতিদিন রোগীদের লম্বা লাইন লেগেই থাকে। রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরীক্ষা করাতে ছুটছেন বেসরকারি ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে।

ভুক্তভোগী রোগী তামান্না আক্তার বলেন, তার এক্সরে করানো দরকার। কিন্তু যন্ত্রপাতি না থাকায় বাইরে থেকে ১ হাজার টাকা দিয়ে পরীক্ষা করাতে হয়েছে। হাসপাতালে করাতে পারলে ২০০ টাকা লাগত। ওয়ার্ডে বিভিন্ন সময় ভর্তি রোগীরা অনেকে বলেন, ডাক্তাররা আমরাদের ঠিক মতো দেখতেও আসে না।

এদিকে কালকিনি  হাসপাতালে মেডিক্যাল সার্টিফিকেটের রমরমা বাণিজ্য চলছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সিম্পল ইনজুরিকে গিরিভিয়াস আবার মারাত্বক জখম হলেও তাকে দেয়া হচ্ছে সিম্পল সার্টিফিকেট। এতে আদালতে মারামারি মামলার বিচারপ্রার্থীরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হন, হাসপাতাল সূত্র ও স্থানীয়রা জানান রোগীর রেফার করলে কিছু অসাধু ডা.বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস থেকে মাসিক পারসেন্টেন্স নিয়ে থাকে। আরো অভিযোগ রয়েছে অফিস চলাকালীন সময়ে বেসরকারি ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে ডাক্তারা প্র্যাকটিসে চলে যান,কোন অপারেশনের রোগী এলেই ক্লিনিকে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। এ বিষয়ে মাদারীপুর জেলা সিভিলসার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ জানান ভুক্তভোগী।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ