অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ মে সন্ধ্যা আনুমানিক ৭.৩০ ঘটিকার সময় উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামের বাদী মোঃ শাহাজদ্দিনের আম বাগানে বিবাদী ১) নজরুল ইসলাম (৪৫) পিতা-মৃত আব্দুল মজিদ,২) মোছাঃ রাবেয়া খাতুন (৪০),স্বামী- মোঃ নজরুল ইসলাম সাং- রায়ডাঙ্গা, কুমারখালী আম কুড়াতে যায়। আম কুড়ানোকে কেন্দ্র করে বিবাদীদ্বয় বাদীর স্ত্রী মোছাঃ আলেয়া খাতুনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
বাদীর স্ত্রী গালিগালাজ করিতে নিষেধ করলে ১ নং বিবাদী বাদীর স্ত্রীর চুল ধরিয়া চড়,থাপ্পর,কিলঘুষি ও লাথি মারিয়া জখম করে। ১ নং বিবাদীর হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়া এলোপাথাড়ি আঘাত করিয়া নীলাফোলা জখম করে। ২ নং বিবাদীর হাতে থাকা গামছা দিয়া গলাই ফাঁস লাগাইয়া হত্যার চেষ্টা করে।
এ ঘটনা দেখিয়া বিবাদীর ভাইয়ের স্ত্রী মোছাঃ লাকি খাতুন আগাইয়া আসলে ১ নং বিবাদীর হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়া তার কোমর ও বুকেপিঠে আঘাত করিয়া থেতলা রক্তাক্ত জখম করে। বাদীর মেয়ে মোছাঃ অন্তি খাতুন আগাইয়া আসলে ১ নং বিবাদী তাকেও চড় থাপ্পর কিল ঘুষি মারিয়া কালশিরা ফোলা জখম করে।বিবাদীর ছোট মেয়ে মোছাঃ অন্নি খাতুন আগাইয়া আসলে তারও চুলের মুঠি ধরিয়া চোখে মুখে উপর্যুপরি চড় থাপ্পর মারিয়া রক্ত জমাট বাধা জখম করে।
তারপর ১ নং বিবাদী বাদীর ঘরে প্রবেশ করিয়া আলমারীতে রক্ষিত স্বর্ণের চেইন,স্বর্ণের ১ জোড়া রুলিবালা ও ১জোড়া স্বর্ণের দুল যার আনুমানিক মূল্য ২ লক্ষাধিক টাকা। তাদের আত্মচিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটিয়া আসলে বিবাদ্বয় ভয়ভীতি দেখাইয়া চলিয়া যায়।
আহতদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মোঃ শাহাজদ্দিন বাদী হয়ে কুমারখালী থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
0 মন্তব্যসমূহ