কবির হোসাইন
====================
বাবা মার বড় ছেলে ছিল বড় আদুরে,
বিয়ে করে আনল এক শয়তানীরে,
মুখোশের আড়ালে ছিল যত ছলনা
স্বামীর কাছে ছিল সেরা ললনা।
চোখে মোটা চশমা,মুখ প্রসাধন বিহীন, নিরাভরণ
জোয়ারের স্রোত বেয়ে নদীতে আসে পরিপূর্ণ যৌবন
প্রার্থিব জীবনের সিড়ি বেয়ে সংসারে তার আগমন।
পাগলাটে ঘূর্ণনে বিভ্রান্ত জীবন,
মৃত্যু আর যৌবনের দেবতারা
নাচঘরে শহরের সব যুবকের ভিড়,
সাজানো মঞ্চে পরিবেশিত হয় কান্তিহীন।
সংসারে এসে যেন নর্তকীর নয় যুবতীর উন্মাদ নৃত্য,
ব্যাক গ্রাউন্ডে হ্যামিলনের নতুন বংশীবাদকের বাঁশির সুর,
জন্মদাতা যেন এক নাটকের অভিনেতা,
এই কান্না, এই হাসি,যেন নিত্য দিনের ছলনা।
বাতাসে শব্দের ঘূর্ণন,ঘূর্ণন চার দিকে,
নদীতে আর সব যুবকের ধমনী
বৃদ্ধ নাগরিকবৃদ্ধের চোখে ফেলে আসা অতীতের সমস্ত বিস্ময়।
যুবকেরা নগরীর পথ ভুল করে আলো আঁধারিতে,
ভুলে যায় নাড়ীর টান,ভ্রাতৃত্বের বন্ধন।
প্রিয় মুখ,প্রিয় সব স্মৃতি,বিস্মৃত হয় এই নাচঘরে,
ছিন্ন করে রক্তের বন্ধন,উপরে ফেলে বংশের ধারা।
সতীত্বের স্বাক্ষরবিহীন এইসব ভিন্ন নর্তকীরা
নাচতে না জানলেও নাচাতে জানে।
0 মন্তব্যসমূহ