সামিরা খাতুন
==================
রোমান্টিক রোদের ঝলমলে খামে ভরে শীতল সমীরণের ডানায় পাঠালাম জীবন যুদ্ধের সমীকরণ।
অব্যক্ত পুলকিত ধুসর মর্মবাণীর সমীকরণ মেলাতে থমকে যাবে তুমি, খুঁজবে শীতল সমীরণ উলসিত তটিনীর বুকে।
আদরের দুই বছরের মেকি গ্যারান্টির ভারে মুহ্যমান হবে তোমার কাঞ্চনজঙ্ঘা হৃদয়।
মাধবকুন্ডের জলপ্রপাতও শীতল করতে পারবে না,
নিবারণ করবে না এক ফোটা তৃষা।
মনের মাঝের জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত
হিম করবে না কোন হিমালয়।
মিথ্যার কখনোই থাকে না প্রবহমানতা, প্লবতা হারায় ক্ষণে ক্ষণে।
সত্য সে চিরকালই সত্য—
তার আঁচড় পড়ে কালে পরিক্রমায় সকল অন্তিত্ব জুড়ে।
এককীত্বের কঠিন সময়ে জানালার ফাঁকে দেখি সুবিশাল আকাশ,
গাছে গাছে পাখির লাফালাফি, কাঠবিড়ালীর লুকোচুরি খেলা,
প্রজাপতির ফুলে ফুলে উড়াউড়ি,
গাছে ঝুলে থাকা পেকে হলদে হওয়া বাতাবী লেবু,
বিধাতার ভালবাসার উপহার সারা দুনিয়াময় তার সকল সৃষ্টিকূলের জন্য নির্মল অক্সিজেন --- সবই ঠিক আছে,
এর মাঝে এক ফোঁটা অক্সিজেনের যে কি বড় অভাব
তা পলে পলে অনুভূত হয়।
সামান্য আলোকিত ক্ষণগুলি গর্জে গর্জে ওঠে গর্জনশীল চল্লিশার মত অশান্ত অন্তরাঞ্চলে।
আড়ি পেতে থাকে মন যক্ষের ধন উদ্ধারে লোকচক্ষুর অন্তরালে।
সুনিপূণ অবহেলায় বেড়ে ওঠে যে আগাছা সে পরশ্রীকাতর হয়ে ওঠে,
নিটোল অভিনয়ের নিপূণ খেলায় মেতে ওঠা বেঈমানী দৃষ্টি বিশ্বাসের বেড়াজাল ভেদ করে দৃষ্টি হরণ করে।
আশার প্রদীপ কখনো বুঝি নেভে না,
মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে এসেও টিমটিম করে জ্বলতে থাকে তৃতীয়া তিথির চন্দ্রের ন্যায়।
ছায়াপথের পথ ধরে বিরামহীন ছুটে চলে গহীন অন্ধকারে।
শেষবেলায় এসে মনে হয় জীবনটা নিয়ন আলোর মতই বর্ণচোরা।
একজনের মুখের কথাও জীবনে ভীষণ প্রভাব ফেলে চন্দ্রের আকর্ষণে সাগরে জোয়ার আনার মত।
নিভৃতে বসে স্মৃতিচারণ করি---
কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার সময় কলেজ মোড়ের রাস্তাগুলোর সংস্কার কাজে পিচ ফুটানো আগুনের পাশ দিয়ে হেটে চলে যেতাম মেরিল ট্যালকম পাউডার মেখে কোম্পানীর চিত্তাকর্ষক বিজ্ঞাপনের ফটো সাংবাদিকের মত।
পাশ দিয়ে হেটে যাওয়া যুবক যখন গেয়ে উঠত “যেন চাঁদ থেকে এনেছে সে চাঁদ মাখা রূপ” অহংকারতো একটু হতই আর সৃষ্টিকর্তাকে আরেকবার স্মরণ হত শুকরিয়ায়।
এখন একজন সহৃদয় ব্যক্তিত্ব খুঁজি, তাজা চায়ের কাপে চুমুক দিযে যিনি মনে করিয়ে দেবেন আমি কে?
0 মন্তব্যসমূহ