যিনি একাধারে কবি, কথাশিল্পী, সাংবাদিক ও গীতিকার। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের গবেষক এবং বিজ্ঞানী। মা বাবার পরিসরে ভাই-বোন সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার প্রবক্তা। নারীর ক্ষমতায়ন মূল্যায়ন ও বাস্তবায়নে পুত্র-কন্যাকে আলাদা দেখেন না, বিশেষ করে মা-বাবার ঘরে প্রাপ্ত অংশ অর্থ-সম্পদ ও অধিকারের ক্ষেত্রে। হ্যাঁ আরো অধিকারের ক্ষেত্রে তিনি আল্লাহ ও নবী রাসূলের সান্নিধ্য লাভ এবং বেহেশত প্রাপ্তির অংশ ছাড়তেও রাজি নন।
যে শুধু টাকা ওয়ালারায় ইব্রাহিম (আঃ) তথা মুহাম্মদ (সাঃ) প্রতিষ্ঠিত হজ বাস্তবায়ন, যাকাত ইত্যাদি আদায় করে, আল্লাহর অনুগত সকল সুযোগ সুবিধা কিনে নেবেন। তা হতে পারে না - এটা অসম্ভব। যেহেতু আল্লাহ এক-অদ্বিতীয়। আর আল্লাহর দানের কিছুতে পারশিয়ালটিও নেই। নবী করিম (সাঃ)ও গরীবের বন্ধু ছিলেন বটে। এই পর্যায়ে তিনি তার মতো করে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ বা পরিপূর্ণ উদাহরণ দিতে সক্ষম হয়েছেন।
লেখকের সম্পর্কে লেখকের বড় পুত্র বলেছেন- "আমার আম্মা একজন সাহিত্য পন্ডিতই নন, একজন আধ্মাতিক বড় মাপের সুফি-সাধক।" সৈয়দা রাশিদা বারী রচিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় ২০০টি। তবে প্রকাশিত গ্রন্থ ১০০টির উপর। বেশ কিছু গ্রন্থ প্রকাশ হওয়ার পথে কাজ চলছে। তিনি ৪হাজারের অধিক গান লিখেছেন। প্রায় ৫হাজারের অধিক প্রবাদ বাক্য লিখেছেন। রাশিদা সাহিত্য ও সাংস্কৃতির উপরে সংবর্ধনা, সম্মাননা, পুরুষ্কার, ক্রেস্ট পেয়েছেন স্থানীয়, জাতীয়, আন্তর্জাতিকসহ ৮৫টিরও অধিক।
রাশিদা নানা সময় নানা উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন কর্তৃক উপাধি প্রাপ্ত হয়েছেন সেগুলো যথাক্রমে:
১. কাব্যশ্রী, ২. কাব্যরত্ন, ৩.কবিররত্ন, ৪. বাংলাদেশরত্ন, ৫. সাহিত্যরত্ন, ৬. সাহিত্য পদ্মভূষণ, ৭. সাহিত্য বিষারদ, ৮. সাহিত্য সাগর, ৯. সাহিত্য রানী, ১০. রাধা রাণী দেবী সাহিত্য পুরস্কার, ১১.সাহিত্য স্বরসতী, ১২. সাহিত্য বিদ্যা বিনোদন, ১৩. সাহিত্যেশ্বর, ১৪. সরস্বতীর মানস কন্যা, ১৫. সরস্বতী মায়ের মানস কন্যা, ১৬. মা সরস্বতীর মানস কন্যা, ১৭. বঙ্গেশ্বর, ১৮. ভাষা সৈনিক কন্যা, ১৯. সব্যসাচী লেখক, ২০. জীবন্ত কিংবদন্তী। জন্ম: সংস্কৃতির রাজধানী কুষ্টিয়া। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও চলচ্চিত্রের গীতিকার। সম্পাদক-প্রকাশক জাতীয় সচিত্র মাসিক ’স্বপ্নের দেশ’ ঢাকা।
সাংবাদিকতায়: ১. দৈনিক আজকের সংবাদ, ঢাকা এর বিশেষ প্রতিনিধি; ২. দৈনিক জনপদ, ঢাকা এর সাবেক বিশেষ সংবাদদাতা; ৩. দৈনিক আল আমীন, ঢাকা এর বিভাগীয় সম্পাদক/নারী ও শিশু বিভাগের প্রধান এবং পূর্বে কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ছিলেন। ৪. মাসিক ডাকপিয়ন (ঢাকা) এর সাবেক চীফ রিপোর্টার এছাড়াও পূর্বে অন্যান্য দৈনিকে ছিলেন।
সাংগঠনিক ক্ষেত্রে: ১. প্রতিষ্ঠাতা-সাধারণ সম্পাদক: শতাব্দী সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র (বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা শাখা)। ২. প্রতিষ্ঠাতা প্রধান/ভূতপূর্ব সাধারণ সম্পাদক: বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ (কুষ্টিয়া জেলা শাখা)। ৩. প্রতিষ্ঠাতা-সাধারণ সম্পাদক: আধুনিক সাহিত্য পরিষদ (কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ)। ৪. প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি: বাংলাদেশ আধুনিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ। ৫. প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি: বাংলাদেশ ভাষাসৈনিক প্রজন্ম সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ ৬.প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি: ভাবনায় বাংলাদেশ, ঢাকা, বাংলাদেশ। ৭. প্রতিষ্ঠাতা- নির্বাহী সদস্য: ড. মযহারুল ইসলাম স্মৃতি পরিষদ (ঢাকা)। ৮. সহ-সভাপতি: বাউল তরী শিল্পী গোষ্ঠী, ঢাকা। ৯. উপদেষ্টা: ‘বন্ধন’ কালচারাল ফোরাম, ঢাকা। ১০. উপদেষ্টা: ‘শুদ্ধচিত্র বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’, ঢাকা। ১১. যুগ্ম সম্পাদক: জয় বাংলা সাংস্কৃতিক পরিষদ, ঢাকা। ১২. সাবেক সহ-সম্পাদক: বাংলাদেশ জাতীয় লেখক ফোরাম, ঢাকা। ১৩. বিভাগীয় সচিব: জাতীয় গীতি কবি পরিষদ, ঢাকা। ১৪. নির্বাহী সদস্য: বাংলাদেশ টেলিভিশন শিল্পী সমিতি, ঢাকা। ১৫. প্রাক্তন নির্বাহী সদস্য: জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা- ঢাকা, কেন্দ্রীয় পরিষদসহ ইত্যাদি।
স্থায়ী সদস্য: ১. বাংলা একাডেমি (ঢাকা); ২. লালন একাডেমী (কুষ্টিয়া); ৩. জেলা শিল্পকলা একাডেমী (কুষ্টিয়া); ৪. বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (কুষ্টিয়া শাখা); ৫. বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ (ঢাকা); ৬. ঢাকাস্থ কুষ্টিয়া জেলা সমিতি (ঢাকা); ৭. কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরী; ৮. কুমারখালী পাবলিক লাইব্রেরি; ৯. কবি সংসদ বাংলাদেশ, ঢাকা; ১০. ভারত-বাংলাদেশ সাহিত্য সংস্থা, ঢাকা, ভারত; ১১. কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী পরিষদ ঢাকা, কলকাতা ১২. সার্ক কালচারাল ফোরাম এবং ১৩. বিশ্ববঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন (ভারত) ইত্যাদি।
সম্মাননা/ পুরস্কার: ১. বাংলাদেশ জাতীয় লেখক ফোরাম (ঢাকা) বেগম রোকেয়া পদক; ২. বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ (ঢাকা) সাহিত্য সংবর্ধনা; ৩. বাংলাদেশ কবিতা সংসদ (পাবনা) বাংলা সাহিত্য পদক; ৪. সুললনা স্বাধীনতা পদক (রাজশাহী); ৫. নোঙর সাহিত্য পুরস্কার (ঈশ্বরদী); ৬. সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী সাহিত্য পুরষ্কার (সিরাজগঞ্জ); ৭. আরশী নগর বাউল সংঘ (রাজবাড়ী) সাহিত্য পুরস্কার ; ৮. জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা; ৯. শতাব্দী সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের সম্মাননা; সাংবাদিকতা এবং সাহিত্যের উপর। ১০. কুষ্টিয়া উন্নয়ন পরিষদ এর স্বর্ণপদক ও নাগরিক সংবর্ধনা; ১১. সাপ্তাহিক বিচিত্র সংবাদ পত্রিকার সাহিত্য সম্মাননা; ১২. কবি বে-নজীর আহমদ, ১৩. জাতীয় মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি; ১৪. বাউল তরী। ১৫. কবি জসীমউদ্দীন স্বর্ণ পদক, কবি জসীমউদ্দীন পরিষদ, ( ফরিদপুর) ১৬. কবি আজিজুর রহমান স্বর্ণপদক, কবি আজিজুর রহমান পরিষদ, (কুষ্টিয়া-ঢাকা) এছাড়া ভারতের ১৭. আন্তর্জাতিক আলো আভাষ; ১৮. আন্তর্জাতিক বিশ্ব বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন এর আন্তর্জাতিক সাহিত্য পুরষ্কার, ১৯. ‘এবং বাউল’ পত্রিকা ও ২০. ‘কুশুমে ফেরা’ সংস্থা হতে, নেতাজি সুবাস স্মৃতি পুরস্কারসহ ভারতেরও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান থেকে ১৫টি সংবর্ধনা ও সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এছাড়াও ভারত থেকে ৩টি উপাধি পেয়েছেন। নিঃসন্দেহে তিনি একজন বাংলাদেশের গর্ব, পৃথিবীর ঐতিহ্য। আমরা ধন্য- তার প্রতি কৃতজ্ঞ। সৈয়দা রাশিদা বারী দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থী। আমাদের এই আন্তর্জাতিক মিডিয়া প্রতিষ্ঠান- 'bdnews.in' এর পক্ষ থেকে অভিনন্দনসহ সাহিত্যের উজ্বল ভবিষ্যত ও সুস্বাস্থ্য দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
0 মন্তব্যসমূহ