কিচিৎ পরিমানে যারা যৌনতার জন্য পরকীয়া করে, তারা অধিকাংশই হয় মোহগ্রস্ত, নয়তো শারিরীক নেশাগ্রস্ত, যে সম্পর্ক কখনোই বেশিদূর গড়ায় না। কারণ যৌনতা জীবনের একটি অংশ হতে পারে কিন্তু জীবন নয়, তাই জীবনের একটি অংশকে গুরুত্ব বেশি দিলে জীবন এক সময় একঘেয়েমি হয়ে পড়ে, যেটা আমরা পর্নস্টারদের জীবন কাহিনী থেকে জানি।
তবে অধিকাংশ মেয়েরাই পরকীয়া করে স্বামীর উপর অসন্তুষ্ট হয়ে। যাদের স্বামীরা খবিস, নাদান, অপরিষ্কার, চেহারায় কোন মলিনতা নেই -কোন সৌন্দর্য্য নেই , মনে কোন রোমান্টিকতা নেই, বউয়ের জন্য কোন সময় নেই। এরা ছুটে চলে টাকা পয়সা, বাজারসদাই, আর সন্তানের ভবিষ্যতের পিছু পিছু। অথচ তাদের স্ত্রীরা হয়তো এতটা সাদামাটাও নয়, যারা ঘুরতে পছন্দ করে, সাজলে প্রশংসা শুনতে ভালোবাসে আর রান্নার তারিফের জন্য অপেক্ষা করে, কেরিয়ার মটিভেশন শোনার জন্য আকাঙ্ক্ষা করে। অথচ ঘরের লোকটা থেকে এর কিছুই পায় না, বরং বারেবারে বিভিন্ন কথায় অপমান শুনতে হয়, বাপ মায়ের উপর গালি শুনতে হয়, হাজারো কাজের কৌফিয়ত দিতে হয়, তাদের কাছে কোথায় বেড়াতে যাওয়া হয় বাড়তি খরচ , কিংবা রান্নায় বিভিন্নরকমের সমস্যা , আচরণ হুবহু তার মতো নয় কেন , এইছাড়াও কোটি কোটি অভিযোগ, তখন বন্ধুরুপে কাউকে খুঁজে বেড়ায় তারা, অস্বাস্থ্যকর সম্পর্ককে কিছুটা সময়ের জন্য হলেও ভুলে থাকতে চায়, এবং পেয়ে গেলে তাকে বন্ধু বানিয়ে আরেক মরিচীকার বেড়াজালে জড়িয়ে পড়ে। মূলত বিষাক্ত সম্পর্ক থেকে বের হতেই মেয়েরা পরকীয়া করে।
কিন্তু স্বামী, সন্তান আর সমাজের বেড়াজালে এ পরকীয়া আবার বেশিদূর গড়ায় না, গড়িয়েও লাভ হয় না। কারণ প্রেমিক পুরুষ আর বিবাহিত পুরুষ অনেক সময় এক নাও হতে পারে। তাছাড়া বিয়ে কিংবা বিবাহিত পুরুষ মানেই সে -ই স্বামী, সংসার, সন্তান আর যৌনতা, এর বাইরের কোন জগত নয়।তাই পরকীয়া অনেক সময় মুক্তির উপায় নাও হতে পারে।
অথচ নিজেকে ভালো রাখার জন্য পরকীয়ার চেয়েও বেশ ভালো ভালো উপায় আছে, আর সেটা হলো সব পরিবেশে নিজেকে টিকিয়ে রাখার কৌশল রপ্ত করা আর নিজের পরিচয় বের করার জন্য সৃজনশীল কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখা ।
0 মন্তব্যসমূহ