সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

বর্তমানে কেন স্বামীরা তাদের বউয়ের কথায় ওঠে বসে।।BDNews.in


বিডি নিউজ ডেস্কঃ পুরুষ মানুষ পুরুষ কি সেটাই ভুলে গেছে। প্রায় সকল প্রধান ধর্মে পরিবারের প্রধান একজন পুরুষ। এর কারন এই নয় যে নারীর চেয়ে শক্তিশালী আর বাড়ি এসে বউ পেটাতে পারে আর তার বাচ্চারা তাকে দেখলেই ভয়ে জড়সড় হয়ে যাবে। 

পুরুষ কি বুঝতে হলে আদিম সমাজে চোখ ফেরাতে হবে। পুরুষ মানে বাহিরে শিকারে বের হওয়া আর নিজের পরিবারকে বাহিরের বিপদ থেকে আগলে রাখা। বলবেন আদিম সমাজেত নারীকে পুরুষ জোর করে গুহাতে তুলে নিয়ে যেত। 

আজও ধর্ষণ হয়, তাই বলে সব পুরুষ ধর্ষক না আর সব পুরুষের তার পছন্দের নারীকে জোর করে তুলে নেবার দরকার পরে না। নারী সবসময় নিজের সংসার আর সন্তানকে নিরাপত্তা দেবে আর লালন পালনে অংশ নেবে এমন একজন পুরুষের খোঁজ করে। আজকাল পুরুষেরা সংসার শুরুই করে নারীর কাছে হাত পেতে যৌতূক নিয়ে। আদিম সমাজে নারীকে শিকার ধরে এনে উপহার দিয়ে মন জয় করতে হত। তারপর দুজনে মিলে কঠোর পরিশ্রম করে নিজেদের গুহাকে বাস উপযোগী করে বউ ঘরে তুলত। 

আজকাল পুরুষেরা নিজেদের যোগ্য প্রমান করতে কে কত বড় চাকরী করে অর্থাৎ কে কত বড় চাকর সেটাই প্রমান করতে চায়। একজন পুরুষ যদি তার স্বাভাবিক প্রবৃত্তিতে সারা দিয়ে একজন বা একাধিক নারীকে জীবনে অর্জন করতে চায় তাহলে প্রাপ্তবয়স্ক হবার সাথে সাথে তাকে উপার্জনক্ষম হতে হবে। পড়ালেখা করে চাকরী করে তারপর বাড়ি গাড়ি করে বিয়ে করার যে প্রক্রিয়া আধুনিক সমাজে চালু হয়েছে সেই চক্রতে যারা ফেঁসে গেছে তারাই গোলাম হয়ে গেছে। 

বসের গোলাম, বউয়ের গোলাম, ব্যাংকের গোলাম, এমনকি শিক্ষক আর বাপের গোলাম। উপার্জনক্ষম হতে হলে বিদ্বান হতে হবে আর বিদ্যা অর্জন করতে হলে গোলাম হতে হবে এই ধারনাটাই সব বদলে দিয়েছে। উপার্জনক্ষম হবার সাথে বিদ্বান হবার কোন সম্পর্ক নেই। যে কোন ভালো কাজ করতে সক্ষম হলেই আর তাতে ভালো উপার্জন হলেই হল। কিন্তু নানা পেশার প্রতি অশ্রদ্ধা মানুষকে উপার্জনক্ষম হতে দেয় না। এক ছেলে যে ভেড়ার খামার করে অল্প বয়সে লাখ টাকা কামাই করছে সে অল্প বয়সেই বিয়ে করতে পারে। সমস্যা হল এই অল্প বয়সে কামাই করা আর বিয়ে করার পর সে আর ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হবার স্বপ্ন দেখে না। 

আর যারা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় তারাও বিশ্বাস করতে পারে না বিয়ে করে উপার্জনক্ষম হয়েও ডাক্তারি পড়াশুনা করা যায়। ডাক্তারি শিক্ষা বাবস্থাও এমনভাবে বানানো হয়েছে যে ঐ বিবাহিত উপার্জনক্ষম ছেলের জন্য পড়াশুনা করাটা ওণেক কঠিন করে দেয়া হয়েছে অথচ যে সকল বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার সেখানে শেখানো হয় প্রায় সকলেই কম বয়সে উপার্জনক্ষম হয়ে বিয়ে করে তারপর সেসব আবিষ্কার করেছিল। আর যখন আপনি ত্রিশ বছর বয়সে বিদ্বান হয়ে ভালো চাকরী করবেন তখন বউয়ের কাছে ঐ ছেলেটার চেয়ে কম সফল বা কম পৌরুষ এর অধিকারী হবেন যে তখন লাখপতি হয়ে গেছে। 

অর্থাৎ পড়ালেখার পাশাপাশি উপার্জন করার সাইড বিজনেস কম বয়সেই বের করে ফেলতে হবে আবার পড়ালেখাতেও ভালো করতে হবে। পড়ালেখার নিয়মটা আগেকার মত আর বদলাতে পারবেন না। দশটা পাঁচটা অফিসের মত কলেজে যেতেই হবে। গোলামী করতেই হবে। কিন্তু নিজেকে ভালো একজন পুরুষ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে নারী তাকে সম্মান করতে বাধ্য। এজন্য বদরাগী হবার দরকার নেই বরং বড় কিছু করে দেখাবার মত কিছু হতে হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ