ভাষা যোদ্ধা কন্যা কবি সৈয়দা রাশিদা বারীর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি: নিশান শাহজাদা

ভাষা যোদ্ধা কন্যা কবি সৈয়দা রাশিদা বারী

বিডি নিউজ ডেস্কঃ সমাজ সংস্কারক, নির্ভীক প্রকৃতি প্রেমী, দেশীয় বৃক্ষ ঘাস ফুল পাখি প্রেমী সৈয়দা রাশিদা বারী একজন পলিম্যাথ লেখিকা। তিনি ভাষা সৈনিক সৈয়দ রফিকুল ইসলামের মেয়ে। মাতৃভাষা সংগ্রামী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা রোকেয়া রফিক। সাত্ত্বিক হৃদিক একজন মহান লেখক। যিনি একাধারে কবি, গীতিকার, সাংবাদিক ও গীতিকার। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের গবেষক ও বিজ্ঞানী ড. পিতামাতার পরিসরে ভাই-বোনের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রবক্তা। নারীর ক্ষমতায়নের মূল্যায়ন ও বাস্তবায়নে, পুত্র ও কন্যাদের সাথে আলাদাভাবে আচরণ করা হয় না, বিশেষ করে পিতামাতার বাড়িতে প্রাপ্ত সম্পদ এবং অধিকারের অংশের ক্ষেত্রে। হ্যাঁ, অধিক হকের ক্ষেত্রে আল্লাহ ও রাসূলের নৈকট্য লাভ এবং জান্নাত লাভের ক্ষেত্রে সে তার অংশ ত্যাগ করতে রাজি নয়। যে ব্যক্তি ইব্রাহিম (আ.) ও মুহাম্মদ (স.) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হজ সম্পাদনের জন্য শুধুমাত্র অর্থ ব্যয় করবে, যাকাত আদায় করবে ইত্যাদি, সে আল্লাহর সমস্ত সুযোগ-সুবিধা ক্রয় করবে। এটা হতে পারে না - এটা অসম্ভব। কারণ আল্লাহ অদ্বিতীয়। আর আল্লাহর কোন দানের মধ্যে কোন পক্ষপাতিত্ব নেই। হযরত করিম (সঃ) গরীবদেরও বন্ধু ছিলেন। এই পর্যায়ে তিনি তার নিজস্ব উপায়ে ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ বা সম্পূর্ণ উদাহরণ দিতে সক্ষম। লেখক সম্পর্কে লেখকের বড় ছেলে বলেন- "আমার মা শুধু একজন সাহিত্যিক পণ্ডিত নন, একজন আধ্যাত্মিক সূফী-সাদখাও মহান মর্যাদার।" সৈয়দা রাশিদা বারীর রচিত বইয়ের সংখ্যা প্রায় ২০০। তবে প্রকাশিত হয়েছে শতাধিক বই। বেশ কিছু বই প্রকাশের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চার হাজারের বেশি গান লিখেছেন তিনি। লিখেছেন ৫ হাজারের বেশি প্রবাদ। রাশিদা সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে ৮৫টিরও বেশি স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, সম্মাননা, পুরস্কার ও ক্রেস্ট পেয়েছেন।

রাশিদা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা দ্বারা সম্মানিত হয়েছেন – 

১. কাব্যশ্রী, ২. কাব্যরত্ন, ৩. কবিরত্ন, ৪. বাংলাদেশ রত্ন, ৫. সাহিত্যরত্ন, ৬. সাহিত্য পদ্মভূষণ, ৭. সাহিত্য বিশারদ, ৮. সাহিত্য সাগর, ৯. সাহিত্য রাণী, ১০. রাধা রানী দেবী, সাহিত্যিক এ. ১১. সাহিত্য স্বরসতী, ১২. সাহিত্য, শিক্ষা, বিনোদন, ১৩. সাহিত্যেশ্বর, ১৪. সরস্বতীর কন্যা মানস, ১৫. সরস্বতী মায়ের মানস কন্যা, ১৬. মা সরস্বতীর কন্যা মানস, ১৭. বঙ্গেশ্বর, ১৮. ভাষা সৈনিকের কন্যা, ১৯. সব্যসাচী লেখক, ২০. একজন জীবন্ত কিংবদন্তী। জন্ম: সংস্কৃতির রাজধানী কুষ্টিয়া। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার এবং চলচ্চিত্রের একজন গীতিকার। জাতীয় সচিত্র মাসিক 'স্বপ্নের দেশ' ঢাকার সম্পাদক-প্রকাশক।

সাংবাদিকতায়: 

১. দৈনিক আজকের সংবাদ, ঢাকা-এর বিশেষ প্রতিবেদক; ২. সাপ্তাহিক বাংলার ধারা চিত্রের সাহিত্য সম্পাদক; ৩. দৈনিক জনপদ, ঢাকা-এর সাবেক বিশেষ প্রতিবেদক; ৪. দৈনিক আল আমীন, ঢাকা বিভাগীয় সম্পাদক/মহিলা ও শিশু বিভাগের প্রধান এবং পূর্বে কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি। ৫. মাসিক পোস্টম্যান (ঢাকা) এর সাবেক প্রধান প্রতিবেদক এর আগে অন্যান্য দৈনিকেও ছিলেন।

সংগঠনের দিক থেকে: 

১. প্রতিষ্ঠাতা-সাধারণ সম্পাদক: শতাব্দী সংস্কৃতি আলোচনা কেন্দ্র (বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা শাখা)। ২. প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক: বাংলাদেশ লেখক সমিতি (কুষ্টিয়া জেলা শাখা)। ৩. প্রতিষ্ঠাতা-সাধারণ সম্পাদক: আধুনিক সাহিত্য পরিষদ (কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ)। ৪. প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি: বাংলাদেশ আধুনিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ। ৫. প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি: বাংলাদেশ ভাষা সৈনিক প্রজন্ম সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ ৬. প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি: ভাবনায় বাংলাদেশ, ঢাকা, বাংলাদেশ। ৭. প্রতিষ্ঠাতা কার্যনির্বাহী সদস্যঃ ডাঃ মাজহারুল ইসলাম স্মৃতি পরিষদ (ঢাকা)। ৮. সহ-সভাপতিঃ বাউল তরী শিল্পী গোষ্ঠী, ঢাকা। ৯. উপদেষ্টা: 'বন্ধন' সাংস্কৃতিক ফোরাম, ঢাকা। ১০. উপদেষ্টা: 'শুদ্ধচিত্র বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন', ঢাকা। ১১. যুগ্ম সম্পাদক: জয় বাংলা সাংস্কৃতিক পরিষদ, ঢাকা। ১২. সাবেক সহ-সম্পাদক: বাংলাদেশ জাতীয় লেখক ফোরাম, ঢাকা। ১৩. বিভাগীয় সম্পাদক: জাতীয় গীতি কবি পরিষদ, ঢাকা। ১৪. কার্যনির্বাহী সদস্যঃ বাংলাদেশ টেলিভিশন শিল্পী সমিতি, ঢাকা। ১৫. প্রাক্তন কার্যনির্বাহী সদস্যঃ জাতীয় সাংবাদিক সমিতি-ঢাকা, কেন্দ্রীয় পরিষদ সহ ইত্যাদি।

স্থায়ী সদস্য: 

১. বাংলা একাডেমী (ঢাকা); ২. লালন একাডেমী (কুষ্টিয়া); ৩. জেলা আর্টস একাডেমী (কুষ্টিয়া); ৪. বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (কুষ্টিয়া শাখা); ৫. বাংলাদেশ লেখক সমিতি (ঢাকা); ৬. ঢাকা কুষ্টিয়া জেলা সমিতি (ঢাকা); ৭. কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরি; ৮. কুমারখালী পাবলিক লাইব্রেরি; ৯. কবি সংসদ বাংলাদেশ, ঢাকা; ১০. ইন্দো-বাংলাদেশ লিটারারি সোসাইটি, ঢাকা, ভারত; ১১. কলকাতা-ঢাকা ফ্রেন্ডশিপ কাউন্সিল ঢাকা, কলকাতা ১২. সার্ক কালচারাল ফোরাম এবং ১৩. ওয়ার্ল্ড বেঙ্গল লিটারেচার অ্যান্ড কালচার কনফারেন্স (ভারত) ইত্যাদি।

সম্মান ও পুরস্কার:

১. বাংলাদেশ জাতীয় লেখক ফোরাম (ঢাকা) বেগম রোকেয়া পদক; ২. বাংলাদেশ লেখক সমিতি (ঢাকা) সাহিত্য সংবর্ধনা; ৩. বাংলাদেশ কবিতা সংসদ (পাবনা) বাংলা সাহিত্য পদক; ৪. সুলানা স্বাধীনতা পদক (রাজশাহী); ৫. অ্যাঙ্কর সাহিত্য পুরস্কার (ঈশ্বরদী); ৬. সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী সাহিত্য পুরস্কার (সিরাজগঞ্জ); ৭. আরশী নগর বাউল সংঘ (রাজবাড়ী) সাহিত্য পুরস্কার; ৮. জাতীয় সাংবাদিক সমিতি; ৯. শতাব্দী সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র পুরস্কার; সাংবাদিকতা ও সাহিত্য নিয়ে। ১০. কুষ্টিয়া উন্নয়ন পরিষদের স্বর্ণপদক ও নাগরিক সংবর্ধনা; ১১. সাপ্তাহিক বৈচিত্র্য সংবাদ সাহিত্য পুরস্কার; ১২. কবি বে-নাজির আহমদ, ১৩. জাতীয় মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি; ১৪. বাউল তরী ১৫. কবি জসীমউদ্দীন স্বর্ণপদক, কবি জসীমউদ্দীন পরিষদ, (ফরিদপুর) ১৬. কবি আজিজুর রহমান স্বর্ণপদক, কবি আজিজুর রহমান পরিষদ, (কুষ্টিয়া-ঢাকা) ছাড়াও ভারতের ১৭. আন্তর্জাতিক আলোর ঠিকানা; ১৮. আন্তর্জাতিক বিশ্ব বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের আন্তর্জাতিক সাহিত্য পুরস্কার, ১৯. "এবং বাউল" পত্রিকা এবং ২০. 'কুশুমে ফের' সংস্থার পক্ষ থেকে, নেতাজি সুবাস স্মৃতি সহ ভারতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান থেকে 15টি সম্মাননা এবং সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন। পুরস্কার। 

এছাড়াও ভারত থেকে পেয়েছেন ৩টি শিরোপা। নিঃসন্দেহে তিনি বাংলাদেশের গর্ব, বিশ্বের ঐতিহ্য। আমরা তার কাছে কৃতজ্ঞ। সৈয়দা রাশিদা বারী দেশবাসীর দোয়া প্রার্থী। আমাদের আন্তর্জাতিক মিডিয়া সংস্থা- 'ভাবনায় বাংলাদেশ'-এর পক্ষ থেকে আমরা সাহিত্যের জন্য আপনার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।