সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

সুশীল সমাজের ব্যক্তিত্বহীন অরুচিশীল ব্যক্তিত্ব-এইচ. এম. সুমন।। বিডি নিউজ.ইন।। BD News.in


আমাদের সমাজে অহরহ এমন অনেক ছোটখাটো ঘটনা ঘটে যাচ্ছে যা আসলেই অনেক দৃষ্টিকটু। 

ধরা যাক একজন বিবাহিত যুবক, যুবক বলতে আমরা কিন্তু খুব বেশি বয়স্ক কাউকে বুঝিনা, খুব অল্প বয়সেই প্রেম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ব্যক্তি। 

ভালোবেসে তারা বিয়েটা করে কিন্তু  তাদের এই ভালোবাসাটা  অল্প কিছুদিনের মধ্যে হারিয়ে যায়।

তখন বাড়ির বউকে ভালো লাগেনা।  হ্যাঁ শুনতে খারাপ লাগলে কথাটি সত্য তখন অন্যের বউকে ভালো লাগে।

আবার ধরা যাক বিবেকহীন কিছু মানুষ,  আমাদের সমাজে এমন অনেক দৃষ্টান্ত আছে যে বউয়ের কথায় বা স্বামী  স্ত্রী মিলে বাবা মাকে নির্যাতন মারধর এমন নানান ধরনের ঘটনা। 

অহরহ এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে হয়তো আমাদের সামনে পিছনে চোখের আড়ালে এমন হাজারো ঘটনা ঘটে চলছে। বিভিন্ন পত্রিকা ও গণমাধ্যমে আমরা এ ধরনের সংবাদ প্রতিনিয়ত দু-চারটা পেয়ে থাকি।

এই বিবেক ও চেতনাহীন মানুষগুলোর  অনেক সাহস কারণ সাহস না থাকলে একটা মানুষ খুব সহজেই পারে না বাবা মায়ের গায়ে হাত তুলতে।

আমরা ছোটবেলায় পড়ে এসেছি শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড । 

কিন্তু শিক্ষিত সমাজে কিন্তু এমন হাজারো ঘটনার সাথে জড়িত।

তাই আসুন আমরা কেবলমাত্র  আমাদের  শিক্ষাগত শিক্ষায় নয় পারিবারিক শিক্ষায়  সন্তানকে মানুষের মত মানুষ করে গড়ে তুলি। আমরা জানি শিক্ষার জীবনব্যাপী বিস্তৃত।  

এটাই খুব স্বাভাবিক যে শিশুরা ছোটবেলার যা দেখে বড় হবে ঠিক তাই করবে৷ আমি মনে করি এতে তাদের কোন দোষ নেই হয়তো পরিবারের দোষ অথবা পরিবার হতে প্রাপ্ত  শিক্ষার  দোষ, যেমন ধরেন আপনার সন্তানের সামনে আজ আপনি   এমন কিছু করলেন  যা ওই ছোট্ট শিশুটির  মস্তিষ্কে ধারণ হলো। আপনি কি মনে করেন এর নূন্যতম প্রভাব এই এই ছোট্ট শিশুটির মস্তিষ্কে   পড়বে না,অবশ্যই পড়বে তা আমরা সবাই বুঝি। এমন হাজারো উদাহরণ চাইলে আমরা দিতে পারি।  কিন্তু আমরা চাই না আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম  ব্যক্তিত্বহীন অরুচিশীল ব্যক্তিত্ব হিসেবে গড়ে উঠুক। 

একটি সুন্দর সুশীল সমাজ সকলেরই কাম্য। কারিগরি শিক্ষা আপনাকে শিক্ষিত করে। আর পারিবারিক শিক্ষা আপনাকে আপনার সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে। তাই আসুন কারিগরি শিক্ষার পাশাপাশি পারিবারিক  শিক্ষায় ও সন্তানকে শিক্ষিত করি।

বিঃদ্রঃ কাউকে ইঙ্গিত করে বা কাউকে কষ্ট দেওয়ার উদ্দেশ্যে লেখা গুলে লেখা হয়নি।

ধন্যবাদ।

এইচ. এম. সুমন, শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ