গভীর ভাবে খোঁজ নিয়ে ঐ সংঘবদ্ধ গ্রুপের কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে এই প্রতিনিধির কাছে। জানা যায়, উপজেলার পুটিয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী রানা ও তার স্ত্রী রিয়া,দেলোয়ার,রিনা,দিলা ও লিজা।সৌদি প্রবাসী রানার শ্বশুর বাড়ি কিশোরগন্জে হওয়ায় তার সম্পর্কে চাচাতো শ্যালক মশিউর রহমান,তিনিও সৌদি প্রবাসী। রানার স্ত্রী রিয়া মশিউরের চাচাতো বোন।
সেই সুবাদে বিভিন্ন সময়ে ভিডিও কলে রিয়া মশিউরের কথা হয়। সুচতুর প্রতারক রিয়া প্রেমের ফাঁদে ফেলে মশিউরকে। এবং বিভিন্ন সময় ১০/২০/১৫ হাজার টাকা নিতে নিতে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।
পরবর্তীতে রিয়ার সাথে যোগ দেয় রিনা, দিলা ও লিজা সবাই ভিডিও কলে শরীরের স্পর্শকাতর স্থান দেখিয়ে টাকা নেওয়া শুরু করে। (আমরা কোন অশ্লীল ছবি দেয় না)। মশিউর জানান,রিয়া এমন ভাবে ফাঁদে ফেলেছিলো ৫২ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণের চেইন পর্যন্ত বানিয়ে দিয়েছি। পরবর্তীতে যখন জানতে পারে তাকে ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে,তখন মশিউর রিয়ার সকল ফোন আইডি ব্লক করে দেয়।
তখন শুরু হয় রিয়ার স্বামী রানা ও পুটিয়া গ্রামের দেলোয়ার আরো অনেকে মিলে সেই অশ্লীল ছবির মাধ্যমে জিম্মি করে মশিউরের কাছে চাঁদাদাবী করে। প্রথমে উপরোক্ত ব্যাক্তিরা অশ্লীল ভিডিও /ছবি ডিলিট বাবদ ৫০ হাজার টাকা দাবী করে,২০ হাজার দিয়ে রফাদফা হয়। কিন্তু ভিডিও /ছবি ডিলিট না করে পূণরায় পুঠিয়া গ্রাম ও সৌদি আরব থেকে চাঁদাদাবী ও বিভিন্ন ভয়ভীতি হুমকি ধমকি শুরু করে। এমনকি ঐ ভিডিও দিয়ে রানা টিকটকও তৈরি করেছে বলে মুঠো ফোনে এই প্রতিনিধির কাছে জানায়।
যখন মশিউর আর কোন টাকা পয়সা না দেয় তখন রিয়া মশিউরের মা,ভাইবোন সবার কাছে অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেয়। মুঠোফোনে এক প্রশ্নের উত্তরে রিয়া বলে,ভিডিও আমি ছড়িয়ে দিয়েছি ঠিকই তবে, কোন টাকা পয়সা আমি চাইনি। মশিউর জানান,২০২২ সাল থেকে মোবাইল ফোনে তাদের সম্পর্ক, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারন দেখিয়ে টাকা নিতে থাকে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা নিয়েছে আমার কাছ থেকে।
আমি বিষয়টি বুঝতে পেরে এড়িয়ে চলতে থাকি। তখন শুরু ভিডিও কে পূঁজি করে বিভিন্ন জনের ফোনের মাধ্যমে হুমকি,ধামকি ও ভয়ভীতি শুরু করে পুটিয়া গ্রাম থেকে দেলোয়ার ও সৌদি থেকে রানা। উপায়ন্তর না দেখে আমার কাছের একজনের মাধ্যমে আপনাকে জানালাম। এরা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। এরা আরো অনেকের সাথেই প্রতরণা করছে। আর যেনো কাহাকেউ আমার মতো ফাঁদে ফেলতে না পারে আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি এই প্রতিনিধির কাছে জানান,ওদের বিষয়ে পুটিয়া গ্রামের সবাই জানে, ওরা কাউকে দুলাভাই বানায় কাউকে ভাই বানায় কাউকে মামা বানাই কাউকে কাকা বানায় এরকম ভাবে প্রবাসী ছেলেদের কে বাজে ভাষায় কথা বলে প্রেমের ফাঁদে ফাঁসায় তারপর ওদেরকে বিভিন্ন ভাষায় ওদের কাছ থেকে টাকা আবদার করে আমরা এটা জানি কিছু বলতে পারি না আপনারা আসেন এটা নিয়ে দেখেন গ্রামের লোকের কাছে জিজ্ঞেস করেন।
এদের একজনকে আটক করতে পারলে দলের সবাইকে আটক করা সম্ভব। এব্যাপারে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এর হস্তক্ষেপ কামনা করছে ভূক্তভোগী।
0 মন্তব্যসমূহ