সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

ব্যার্থতার সার্টিফিকেট-মাহমুদুল হাসান।।BDNews.in


বিডি নিউজ ডেস্কঃ মানুষ আমাকে অনেক ট্যালেন্ট ভাবে, বিরাট বিরাট অর্জন আমাকে দিয়ে আশা করে। 

দিন যত যায়, আমার প্রতি মানুষের এক্সপেকটেশন তত বেড়েই চলতেছে। 

অথচ এসবের জন্য নিজের কাছে নিজেকে বড্ড অসহায় লাগে। মাঝরাতে চিৎকার করে সবাইকে জানাতে ইচ্ছে করে আমি আসলে কেউ না৷ আপনি যেভাবে আমাকে ভাবেন, আমি ঐ রকম কেউ না । 

এত্ত এত্ত মানুষ আমার দিকে তাকিয়ে আছে। তারা দেখতে চায়, আমি আসলে কোথায় চান্স পাই, আমি কি করি।  এসব দেখলে ডিপ্রেশনে চলে যাই৷ ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্সে ভুগি৷ 

মাঝেমাঝে আমার মনে হয়, আমি আসলে নিজের জন্য লড়ছি না, আশেপাশের মানুষদের জন্য লড়ছি। ওদের দেখানোর জন্য চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি। 

নইলে, আমি খুব সাধারণ মানুষ। আমার লাইফ যেদিকে যাবে সেদিকেই আমি ইনজয় করে কাটিয়ে দিতে পারতাম। কারো উচ্চবিলাসী জীবন দেখে কখনো আফসোস বা লোভ জাগেনি, অদূর ভবিষ্যতে জাগবেও না। 

সত্যি, মানুষ যদি আমার উপর অত্যাধিক আশা না করতো আমি কখনো ভর্তি পরীক্ষার মতো একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতাম না।

 যেখানে মাত্র ২ ঘন্টার পরীক্ষা দিয়ে কাউকে মেধাবী আর কাউকে ব্যার্থ ঘোষণা করা হয় , ঐরকম একটা প্রতিযোগিতায় আমি অংশগ্রহণ করতাম না।

যেখানে ০.২৫ মার্কের জন্য কারো রাত জাগা  পরিশ্রম বৃথা যায়, কত কত রাইটারের বই পড়া, ঘন্টার পর ঘন্টা বসে কুয়েশ্চন সলভ সবকিছু বিফলে যায়, মাত্র ০.২৫ মার্ক এর জন্য৷ আর আমার রাষ্ট্র নির্লজ্জেএ মতো তাকে ব্যার্থতার সার্টিফিকেট ধরিয়ে দেয়। ঐসব প্রতিযোগিতায় আমি ভুলেও নামতাম না। 

আমার লাইফ যেদিকে যাওয়ার যেতো। জীবন তো ছোটই। অনায়াসে উপভোগ করে কাটিয়ে দিতে পারতাম। কারো ধার ধারতাম না। 

তারপরও এসব প্রতিযোগিতার জন্য প্রতিনিয়ত লড়ে যেতে হয়। নিজের জন্য না। অন্যদের জন্য।  অন্যেদের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য। কি অসহায় আমাদের জীবন।

লেখকঃ মাহমুদুল হাসান।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ