সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

নির্বাচনে হেরে গেলেও চাওয়া পূরণ হয়েছে বাপ্পারাজের।।BDNews.in


বিডি নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনে মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে দাঁড়িয়েছিলেন একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক বাপ্পারাজ। কিন্তু জিততে পারেননি নায়ক রাজ রাজ্জাক-পুত্র। তাকে মাত্র ১১৭ ভোট দিয়েছেন শিল্পীরা। তার প্যানেল থেকে একই পদে হেরেছেন নায়ক আসিফ ইকবাল, সাংকোপাঞ্জা, নাদির খান এবং হাসান জাহাঙ্গীরও।

তবে বাপ্পারাজ হারলেও পূরণ হয়েছে তার একটি চাওয়া। ভোটের কয়েক দিন আগে একটি জাতীয় দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি সেই চাওয়ার কথা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু কী চেয়েছিলেন অভিনেতা? তিনি চেয়েছিলেন, মিশা-জায়েদ প্যানেলের হয়ে নির্বাচন করলেও সভাপতি পদে জয়ী হোক ইলিয়াস কাঞ্চন। বাপ্পারাজের সেই চাওয়াটি পূরণ হয়েছে। মিশা সওদাগরকে হারিয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

কিন্তু নিজের প্যানেলের প্রার্থী মিশা সওদাগরের জয় কামনা না করে বিপক্ষ প্যানেলের ইলিয়াস কাঞ্চনের জয় কেন চেয়েছিলেন বাপ্পারাজ? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বর্তমান কমিটিতে যারা আছেন, তাদের নিজেদের কোনো ইজ্জত নেই, অন্য কাউকেও তারা ইজ্জত-সম্মান দিতে জানে না। এ ধরনের লোকের সামনে গিয়ে নিজের ইজ্জত খোয়ানোর কোনো মানে হয় না! এই ইজ্জত কামাতে আমার ৩৫ বছর লেগেছে। এ জন্যই ইলিয়াস কাঞ্চন সাহেবকে দরকার। যার ইজ্জত আছে, যিনি অন্যকে ইজ্জত দিতে পারেন, তাকেই তো দরকার। শিল্পীদের ইজ্জত-সম্মান ফেরাতে ইলিয়াস কাঞ্চনকেই সভাপতি করা দরকার।’

জানা গেছে, এবার নির্বাচনের আগে মিশা-জায়েদ প্যানেলের সবাইকে ভোটের মাঠে প্রচার–প্রচারণায় দেখা গেলেও ছিলেন না বাপ্পারাজ। এমনকি নির্বাচনের দিন বিএফডিসিতে দেখা যায়নি তাঁকে। নিজের ভোটও দেননি তিনি।

কেন? এ ব্যাপারে বাপ্পারাজ বলেন, ‘আমি তো নিজ থেকে ভোটেই দাঁড়াই নাই। নমিনেশন ফরমও নিজ থেকে তুলি নাই আমি। জায়েদ খান এসে আমাকে বলেছিল, “না ভাইয়া, আপনি থাকেন।” একরকমের জোর করেই আমার কাছ থেকে নমিনেশন কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে গেছে। গতবারও সে এসে একই কাজ করেছিল। আমার কোনো আগ্রহ নাই এসবে।’

তিনি প্রশ্ন করেন, ‘এই নির্বাচনে কোনো অনুষ্ঠানে দেখেছেন আমাকে? আমি কারও কাছে ভোটও চাইনি। এবার যে ১১৭টা ভোট পেয়েছি, তা নিঃস্বার্থভাবেই পেয়েছি। ভোটারদের পিউর ভালোবাসা থেকে পেয়েছি। আমি কারও কাছে ফোনও করিনি, ভোটও চাইনি।’ হাসতে হাসতে এই অভিনেতা আরও বলেন, ‘আমি ভোটও চাইনি, কাউকে ভোটের জন্য প্রতিশ্রুতি কিংবা আশা–ভরসাও দিইনি। হা হা হা…।’

তাহলে নমিনেশন কাগজে স্বাক্ষর করলেন কেন?—এমন প্রশ্নের উত্তরে বাপ্পারাজ বলেন, ‘খুব অনুরোধ করল, না করতে পারিনি। কিন্তু স্বাক্ষর করার সময় আমি জায়েদকে বলেছিলাম, আমি নির্বাচনে ভোট চাওয়া থেকে শুরু করে কোনো কিছুতেই থাকতে পারব না। কারণ, আমার এসব ভালো লাগে না। সে বলেছিল , “আপনার কিছুই করতে হবে না। আপনাকে ভোটও চাইতে হবে না, আসতেও হবে না।” আমার সব শর্ত মেনে নিয়েই স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। এখন যা হওয়ার, হয়েছে। এসব থাক। আর কথা না বলাই ভালো।’

ঢাকা/মীম

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ