মা: নাহ্, আউজকা না একুইশা- লালা পাইড় পরুম না। সাদা-কালাটা বাইর করছি। নিকেতন মাঠে প্রোগ্রাম। সবাই সাদা শাড়ী, কালা শাড়ী পরবো।
আমি: ও... আচ্ছা আচ্ছা, তুমি প্রোগ্রামে যাইবা?
মা: হ- যামু। করোনায় কোনোখানে যাইনা...
আমি: না- না... যাও। উল্টাপাল্টা খাইবা না, এলার্জি যাতে না বাড়ে। আর এই শাড়ীটাতো তোমারে পাঠাইছে শাম্মী। ওই যে, তুমি যে ওরে তুলসীপাতা দিছিলা। বৌমা কইয়া ডাকো যে!
মা: ও... আমারে রানীমা কইয়া ডাকটা দেয় যে?
আমি: হ। ওর আরেকটা বাচ্চা হইছে। পোলা। পোলার মিষ্টি, আর রানীমার জন্য শাড়ী- গয়না পাঠাইছে, তুমি পরলে একটা ছবি তুলুম কইছি।
ঘাড়ের ওপর শাম্মীর দেয়া শাড়ীটা নিয়ে বললো, "নে ছবি তোল। বউমার জন্য আশীর্বাদ করি। বাইচ্চা থাউক পোলারা"।
একটু খোঁটাদেয়ার ভঙ্গীতে মা আপেল রানীর গালে ঠোকনা দিয়ে বললাম, হ... খালি পোলারা বাইচ্চা থাকবো, আমরা মাইয়ারা!
মা : "পোলারা" হয়তো মুখে কইছি। কিন্তু মনের ভিতরে তো সব সন্তানের কথাই... মায়ের ভাষা এমনই --- বুঝতে হয়!
লেখকঃ মুন্নি সাহা।
0 মন্তব্যসমূহ