সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

কুষ্টিয়ার পেঁয়াজ চাষিদের অগ্রগতি।।BDNews.in


বন্যা খাতুন,  কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়া জেলায় এখন পেঁয়াজ চাষের চলছে তোরজোর।  পেঁয়াজ চাষ করে চাষিদের অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে।  লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলনের আশায় কুষ্টিয়ার পেঁয়াজচাষি। ভালো ফলনের আশায় খেতে পেঁয়াজের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটছে চাষিদের। জেলায় পেঁয়াজ চাষে বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।

চারার পর্যাপ্ততা, সময়মতো প্রণোদনা, অনুকূল আবহাওয়া ও খরচ কম হওয়ায় এ বছর কুষ্টিয়া জেলায় ১৩ হাজার ৪৬৪ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চারা রোপণ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১২ হাজার ৯১০ হেক্টর জমি। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫৫৪ হেক্টর বেশি চাষ করা হয়েছে।

জেলার দৌলতপুর, মিরপুর, কুমারখালী ও সদর উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজের ভালো ফলন করে ঘরে তোলার জন্য পেঁয়াজের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন জেলার চাষিরা। কাকডাকা ভোর থেকে উঠে দিনব্যাপী পেঁয়াজখেত আঁকড়ানো, নিড়ানো, সার ও স্প্রে দেওয়ার কাজে ব্যস্ত সময় কাটাছেন কৃষকেরা।

কুষ্টিয়া জেলার কিছু পেঁয়াজ চাষিদের থেকে জানা যায়,  দৌলতপুরের কৃষক সাইদুর রহমান দেড় বিঘা জমিতে পেঁয়াজের চারা রোপণ করেছেন। তিনি জানান,  এ বছরে পেঁয়াজের চারার দাম কম। গতবারের চেয়ে এবার চাষে খরচ কমেছে। এবার বিঘাপ্রতি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। নিয়মিত পরিচর্যা করছি। আশা করছি  ফলন ভালো হবে।

কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের জোত মোড়া গ্রামের কৃষক আমিরুল ইসলাম তিন বিঘা জমিতে চারা রোপণ করেছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে পেঁয়াজখেত নিংড়ানো, সার বোনা ও স্প্রে করার কাজ চলছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে গত বছরের চেয়ে অর্ধেক খরচে পেঁয়াজ ঘরে তুলতে পারব। ভালো লাভবান হতে পারব।

কুষ্টিয়া জেলার কৃষি উপপরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক  বলেন,  কৃষকদের অর্থকরী ফসলের মধ্যে অন্যতম পেঁয়াজ। এ অঞ্চলের মাটি পেঁয়াজ চাষে উপযোগী। সব সময় কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছেন জেলার কৃষি কর্মকর্তারা। গতবারের চেয়ে খরচ কম, অনুকূল আবহাওয়া ও সময়মতো প্রণোদনার বীজ ও সার দেওয়া এবং লাভজনক হওয়ায় পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে কৃষকরা এখন পেঁয়াজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ