সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

আমি কোনো অন্যায় করিনি: এফডিসির এমডি।।BDNews.in


বিডি নিউজ ডেস্কঃ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের দিন শুক্রবার এফডিসিতে ঢুকতে না পারার অভিযোগে শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নুজহাত ইয়াসমিনের পদত্যাগের দাবি ওঠে।

গণমাধ্যমের সামনে চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ১৭ সংগঠনের পক্ষে এ দাবি করেন পরিচালক সমিতির সভাপতি পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান। এক দিন পর রোববার এমডির অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করেন পরিচালক, প্রযোজকসহ ১৭টি সংগঠনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

সকাল ১০টায় এফডিসির প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমবেত হয়ে নিজেদের ক্ষোভের কথা বলেন পরিচালক-প্রযোজকরা।

এক ঘণ্টা পর সংবাদ সম্মেলন করেন এফডিসির এমডি নুজহাত ইয়াসমিন। তিনি বলেন, ‘ওনারা যেটা বলছেন বিভিন্নভাবে আমি সেটা শুনেছি। কিছু মানুষ হয়তো আসতে পারতেন। এটা যদি নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হতো, তাহলে ওনারা নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কথা বলে কার্ড ইস্যু করে সেটা করতে পারতেন। এখানে এফডিসির কোনো ভূমিকা নাই।’

এমডি নুজহাত ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ও শিল্পী সমিতির নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুন আঁতাত করে একপক্ষকে সুবিধা দিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পীরজাদা হারুনের সঙ্গে আমার আঁতাত করার প্রয়োজন নেই। এমনকি কারও সঙ্গেই আমার আঁতাত করার প্রয়োজন নেই। যারা এসব বলছেন, প্রমাণ করার দায়িত্বও তাদের। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের করোনাভাইরাস বিষয়ক নির্দেশনা মেনে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হয়েছিল। আমার মনে হয়, আমি কোনো অন্যায় করিনি।

যে কারণে এফডিসিতে ১৭ সংগঠনের সদস্যদের প্রবেশে করতে দেয়া হয়নি, তার ব্যাখা দিয়ে নুজহাত ইয়াসমিন বলেন, করোনা পরিস্থির কথা বিবেচনা করে ভোটের কার্যক্রমের সাথে যারা জড়িত তাদেরই শুধু প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। সব পাসধারীকে যদি অনুমতি দেয়া হতো তাহলে সে রকম হাজার হাজার পাস আছে। করোনার কথা মাথায় রেখে তা দেয়া হয়নি। তবে দুই প্যানেল তাদের প্রয়োজন অনুভব করলে নির্বাচন কমিশনের সাথে কথা বলে নিতে পারতেন। তাছাড়া, এদিন আমরা নিজেরাই প্রবেশের অনুমতি পাইনি।

তিনি আরও বলেন, এফডিসির ভেতরে নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে অনুমতির জন্য আমাদের একটি আবেদন দেয়া হয়। যাতে করে এফডিসিতে শিল্পী সমিতির নির্বাচন করা যায়। সবাই অবগত যে, নতুন ভবনের জন্য বিএফডিসির অর্ধেক জায়গা কমে গেছে। যতটুকু জায়গা আছে তার মধ্যে সবাই প্রবেশ করলে করোনার কারণে অনেক সমস্যা হতো।

নুজহাত ইয়াসমিন বলেন, করোনা পরিস্থির কথা বিবেচনা করে প্রথমে আমরা এফডিসিতে নির্বাচন করার ব্যাপারে না করেছিলাম। তবে শিল্পীদের সুবিধার কথা ভেবে পরবর্তীতে এফডিসিতে নির্বাচনের অনুমতি দেই। করোনার কথা মাথায় রেখে কয়েকটি শর্ত দিয়ে নির্বাচনের অনুমতি দেয়া হয়। সেই অনুযায়ী কাজ করা হয়। সরকারের নির্দেশনা মেনে নির্বাচন হয়।

তিনি বলেন, শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) ছুটির দিন ছিল। যার কারণে ভোটার ছাড়া কারো প্রবেশ দরকার ছিল না। এদিন, সীমিত সংখ্যক সংবাদমাধ্যমের প্রবেশের সুযোগ দেয়া হয়। মন্ত্রী পরিষদের শর্ত মেনেই আমরা নির্বাচনের অনুমতি দেই। সে ক্ষেত্রে পাস কার্ডের অনুমতি দিলে অসংখ্য লোক প্রবেশ করত।

তিনি আরও বলেন, ‘এফডিসির পাস হাজারও মানুষের কাছে আছে। কিন্তু করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, গণজমায়েত নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে।’

ঢাকা/মীম

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ