বিডি নিউজের সাথে একান্ত সাক্ষাতকার সময়ে বাংলাদেশ ক্রাফট ফাউন্ডেশন এর হাত ধরে শ্রেয়ার এগিয়ে চলার গল্পটা শ্রেয়া এভাবেই তুলে ধরেন।
আমি শ্রেয়া স্মৃতি, ২২ শে মার্চ চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্টপাড়ায় জন্ম ওবেড়ে ওঠা।পড়াশোনা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তারপর উচ্চশিক্ষার জন্য ঢাকায় পাড়ি জমানো শেষ হয়েছে বিইউপি তে এসে ব্যাবসায় শিক্ষার মাধ্যমে। সে সুবাদে চাকরীও করা হয় ১.৫ বছর।
বাবা ব্যাবসায়ি মা গৃহিনী পরিবারের বড় সন্তান হওয়ায় আদরটাও বাড়তি ছিলো জীবনে।ছোটবেলা যেহেতু ব্যবসায়িক পরিবেশের সাথে বেড়ে ওঠা তাই মনের মধ্যে ব্যাবসার বিজ সারজীবনই ছিলো।
ছোটবেলা থেকে জড়িতো ছিলাম সব রকম সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে গান, নাচ,চিত্রকলা,কবিতা আবৃতি, বিতর্ক,রচনা প্রতিযোগীতা।বাড়ির একটা আলমারি তাই সেই সব কর্মকান্ডের পুরস্কারে ঠাসা।কলেজে পড়ার সময় জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ বক্তার ও চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার ঝুলিতে আছে।
তারপর মাঝে অনেকদিন গেলো বিবাহিত জীবনে পা দিলাম।আকাআকি প্রচন্ড ভালোলাগে সে সুবাদে পুরষ্কারও আছে বেশ অনেকগুলো।ছোট বেলায় মায়ের সাথে ফেব্রিকপেইন্ট করতে ভালো লাগতো কিন্তু কে জানতো একদিন সেই ভালোলাগাটাই পরিচিতি হবে ।একদিন ক্যান্ভাস পেন্টিং করার সময় হঠাৎ নিজের অনেকদিনের পুরানো একটা পেন্টিং করা জামা কথা মনে হলো তখন হোস্টেল লাইফে নিজের সাথে রুমমেটদেরও সখের বশে করে দিয়েছিলাম তারপর করোনার সময় ওয়ার্ক ফর্ম হোম থাকা অবস্থায় নিজে একটা জামায় আর একটা ব্লাউজে কাজ করি সেটা ম্যাসেনজারে পরিবার আর বন্ধুদের দেখালে তারাও খুব পছন্দ করে ।
আমার জামাইয়েও ভীষন পছন্দ আমার কাজ আর আমার বোন যার ডিজাইনার আমি।সবার উৎসাহে নিজের কাজ সবার মধ্যে বিলিয়ে দিতে শুরু হয় আমার “ ইন্দিবর” এর যাত্রা । প্রচুর সারা পায় সাথে ভালোবাসাও ।বর্তমানে কাজ করছি হ্যান্ডপেইন্ট কুর্তি (আমার সিগনেচার পোডাক্ট), শাড়ি, ব্লাউজপিস, পান্জাবী, দেশী শাড়ি আর আমার নিজ জেলা চুয়াডাঙ্গার বিখ্যাত খাটি খেজুর গুড়, লাল চিনি, লাল আটা, ভুট্টার ছাতু, মায়ের হাতের কুমড়ার বড়ি এবং আম নিয়ে।
উদ্যোক্তা জীবন শুরু হওয়ার কিছুদিন পর আমার কাজিনের মাধ্যমে যুক্ত হই (এইচবি )বর্তমানে বিসিএফ এ সদস্য হিসেবে । এখানে এসে যেন স্বপ্নের পালে একটু জোড়ে বাতাস লাগে । এডমিন সাহেবার ভালোবাসায় এখানে মডারেটর হিসেবে নির্বাচিত হই । সেই থেকে আজ পর্যন্ত যুক্ত আছি ভালোবাসার গ্রুপে বর্তমানে হয়েছি গ্রুপ এ্যাম্বাসেডর ও গ্রুপ এক্সপার্ট। আর বর্তমানে আমি বিসিএফ এর আহবায়ক কমিটিতেও জায়গা পেয়ে গেছি। বিসিএফ বলতে গেলে আমার ব্যবসায়ের ২য় বাড়ি।
অনেক কৃতজ্ঞতা গ্রুপের এডমিন সোহানা আফরোজ আপুর কাছে । আমি জানিনা কতোটুকু যোগ্য আমি কিন্তু যা পেয়েছি এই গ্রুপ থেকে আলহামদুলিল্লাহ্ । আপু আমাকে আদর করে ইন্দিবরের রাণী পদবী দিয়েছেন। আমি ধন্য।
আমার এপথচলায় সবচেয়ে বেশি সার্পোট পেয়েছি আমার পরিবার ,বন্ধু, আর সোহানা আফরোজ আপু এবং তার টিমের কাছ থেকে। দোয়া করবেন, সবাই আমর জন্য আমার পরিবারের জন্য এবং আমার ইন্দিবরের জন্য। আর সেই সাথে বলতে চাই কারুশিল্পীদের নিয়ে বাংলাদেশ ক্রাফট ফাউন্ডেশন যে যুদ্ধ সোহানা আফরোজ শুরু করেছেন, আমি এই যুদ্ধে আপুর সহযোদ্ধা হয়ে আছি এবং থাকবো। ইচ্ছা আছে একদিন ইন্দিবর সবার কাছে পৌছে দিবো পরম আদরে।
0 মন্তব্যসমূহ