অধিকন্তু ভালো দাম পেয়ে তারা খুব খুশি। গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে উপজেলার আলমপুর, খেলনা, ইসবপুর, উমার, আগ্রাদ্বিগুন, ধামইরহাটের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সোনালী রং এর গমক্ষেত।
গমচাষী মামুন আহম্মেদ জানান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় জাহানপুর ইউনিয়নের নানাইচ ব্লকে উচ্চফলনশীল জাতের বারি গম-৩৩ লাগিয়ে ৩৩ শতাংশ জমিতে ১৬ মণ গম পেয়েছেন।
এই ফলন পেতে জমি চাষ করতে গিয়ে খরচ করেছেন মাত্র ৩ হাজার টাকা। আর এর বিপরীতে লাভ করেছেন ১৫ হাজার টাকা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর গম চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৬৪৫ হেক্টর জমিতে।
কিন্তু চাষ হয়েছে ১৩৯৫ হেক্টর জমিতে। মোট উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৫১০০ মেট্রিকটন গম। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: তৌফিক আল জুবায়ের বলেন, গম চাষে অনেক বেশী পানি প্রয়োজন হওয়ায় আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের উৎসাহ দিচ্ছি সরিষা ও ভুট্টা চাষে।
তিনি আরও বলেন যে, সরকারি পর্যায়ে গম সংগ্রহের জন্য মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে মণ প্রতি ১১২০ টাকা। তবে খোলা বাজারে প্রতি মণ গম বিক্রয় হচ্ছে ১৪২০ টাকায়। ফলে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন।
0 মন্তব্যসমূহ