তিনি অত্র ধামইরহাট উপজেলার কালুপাড়া (মধ্যপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা। এলাকাবাসীদের মারফত জানা যায় যে তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ একই গ্রামের মোহাম্মদ জিয়াউর রহমানের বাসায় কাজকর্ম করতেন।
বাবুল হোসেন এর ডাক নাম বাবুল্লা। বাবুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি জিয়াউর রহমানের শাশুড়ির প্রায় নয় হাজার টাকা চুরি করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার। প্রথমে বিষয়টি ব্যবস্থাকে জানানো হলে সে অস্বীকার করে।
পরবর্তীতে যখন গাছে বেঁধে রেখে উপর্যুপরি শারীরিক নির্যাতন করা হয় তখন সে অকপটে চুরির কথা স্বীকার করে। বাবুল্লার স্ত্রীর নাম রোকসানা বেগম। রোকসানা বেগম তার স্বামীর সম্বন্ধে বলতে গিয়ে তার স্বামীর সব দোষ অকপটে স্বীকার করেন।
তিনি বলেন যে, তার স্বামী একজন মাদকাসক্ত। তার স্বামীর অত্যাচারে পরিবারের লোকজন একেবারে অতিষ্ঠ। অবশেষে বাধ্য হয়ে হাত-পা বেঁধে তার স্বামীকে বিচারের কাঠগড়ায় সোপর্দ করতে কোন দ্বিধা করেন নাই।
ধামইরহাট থানা পুলিশ খবর পেয়ে বাবুল্লাকে হাত-পা বাঁধা অবস্থা থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় বাবুল্লাকে তার স্ত্রীর জিম্মাই ছেড়ে দেয়া হয়।
ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, ঘটনাটি দেরিতে হলেও থানা পুলিশ জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে উপস্থিত হয়। তিনি আরো বলেন যে, তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
0 মন্তব্যসমূহ