সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

কালীগঞ্জে ১০০ বিঘার বেশি জমিতে সূর্যমুখীর হাসি।।BDNews.in


নয়ন দাস, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ নাগেশ্বরীর কালীগঞ্জ ইউনিয়নের কমেদপুর এলাকার সূর্যমুখীর খেত।কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে বেড়েছে সূর্যমুখীর চাষ। সরকারি প্রণোদনা ও ব্যক্তি উদ্যোগে উপজেলায় ১০০ বিঘার বেশি জমিতে তেল জাতীয় এই শস্যের আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলনের আশা করছেন চাষিরা।

উপজেলা কৃষি দপ্তর থেকে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরকারি প্রণোদনায় ৫০ জন কৃষক ৫০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। এর মধ্যে উপজেলা কৃষি দপ্তরের তত্ত্বাবধানে কালিগঞ্জ ও কমেদপুর এলাকায় সূর্যমুখী চাষের প্রদর্শনী করা হয়েছে। অপরদিকে নারায়নপুর ও নুনখাওয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চলে ব্যক্তি উদ্যোগে ৫০ বিঘার বেশি জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে। এ ছাড়া সন্তোষপুর ইউনিয়নের আমতলা এলাকায় বীজ উৎপাদনের জন্য চার একর জমিতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) তত্ত্বাবধানে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে।

কৃষি দপ্তর জানায়, সাধারণের মাটিতে সূর্যমুখী করা যায়। বিঘা প্রতি পাঁচ থেকে ছয় মণ ফলন পাওয়া যায়। এর বাজার দরও ভালো। সূর্যমুখী তেলের পুষ্টি এবং গুণগতমান অন্য তেলের চেয়ে বেশি থাকায় এর চাহিদা বেশি। এ ছাড়া সূর্যমুখী আবাদ করে কৃষকেরা লাভ করার পাশাপাশি দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে পারবেন।

উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের বালারহাটের কৃষক আব্দুল খালেক জানান, তিনি নিজ উদ্যোগে এক বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। এখন পর্যন্ত আট হাজার টাকা খরচ হয়েছে। পাঁচ মণ ফসল পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন তিনি। তবে এ ফসল চাষে লাভ বেশি। গত বছর প্রতি মণ তিন হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। এবার আরও বেশিতে বিক্রি হবে বলে তিনি আশা করছেন।

সন্তোষপুর ইউনিয়নের আমতলার কৃষক আব্দুর রাজ্জাক জানান, এবার চার একর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছেন তিনি। তাঁর ফসল বীজ হিসেবে কিনে নিবে বিএডিসি। বিঘা প্রতি সাত মণ ফলন পাওয়ার আশা করছেন তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন জানান, নাগেশ্বরীতে এবার ৫০ জন কৃষককে বীজ এবং সার প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ