সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

কুমারখালীতে দশম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণ।।BDNews.in

কুমারখালীতে দশম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণ।

গোলাম সরোয়ার, কুমারখালী প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের আলাউদ্দিন নগর রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নন্দলালপুর ইউনিয়নের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ও আলাউদ্দিন পার্কের কফিশপে কর্মরত একটি মেয়ে সন্ধ্যায় কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। প্রায় দেড় মাস আগে আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার আলাউদ্দিন নগর পুটিয়া গ্রামে ধর্ষকের নিজ বাড়িতে নিয়ে একজন ধর্ষন করেছে আর একজন ভিডিও ধারণের ঘটনা ঘটিয়েছে। এব্যাপারে ধর্ষিতা মেয়ের নানী ফরিদা বেগম বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। কুমারখালী থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই মোঃ নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কুমারখালী থানার সেকেন্ড অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, প্রায় দেড় মাস আগে আলাউদ্দিন নগর এলাকার পুটিয়া গ্রামের মুক্তার হোসেন ওরফে মুক্তার নাপিতের ছেলে আলামিন (২৫) প্রধান এবং অজ্ঞাতনামা একজনকে অভিযুক্ত করে কুমারখালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। 

ধর্ষিতা মেয়ে নন্দলালপুর গ্রামে "স" অদ্যাক্ষরের পিতা- "স্ব" অদ্যাক্ষর। বর্তমানে ধর্ষিতা মেয়ে নানীর বাড়িতে বসবাস করে। ধর্ষিতা এই প্রতিনিধির কাছে বলে,আমার আব্বা আমার আম্মাকে তালাক দিয়ে অন্যত্র বিবাহ করে। তখন থেকে আমি ও আমার আম্মা নানীর বাড়িতে বসবাস করতে থাকি। পরবর্তীতে আম্মাও দ্বিতীয় বিবাহ করে চলে যায়। আমি নানীর বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করতে থাকি। পাশাপাশি আলাউদ্দিন পার্কের কফিসপে কাজ করি। প্রায় দেড় মাস আগে কর্মস্থল থেকে ফেরার সময় আলাউদ্দিন নগররের চকরঘুয়া গ্রামের মুক্তার নাপিতের ছেলে আলামিন অজ্ঞাতনামা একজনকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে আলামিন আমাকে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে,অপরজন ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও ধারণ করে। বিষয়টি লোক লজ্জার ভয়ে আমি গোপন রাখি। পূণরায় ভিডিও ফাঁসের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালাতে চাই,আমি রাজি না হলে অনেকের মোবাইলে ভিডিওটি শেয়ার করে ধর্ষক আলামিন। আমি উপায়ন্তর না দেখে কুমারখালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। 

এই প্রতিনিধির হাতে ভিডিওটি পৌঁছানোর পর,অনেক অনুসন্ধান করে অজ্ঞাত ব্যাক্তির নাম বেড়িয়ে আসে। তার নাম ঈমন পিতা- শাজাহান,গ্রাম- নন্দলালপুর। আসামীদ্বয়ের বাড়িতে গিয়ে তাদের পাওয়া যায় নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি এই প্রতিনিধির কাছে জানান সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে একাধিক ব্যাক্তি ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ২য় অভিযুক্ত ঈমন (যেটা অজ্ঞাত ব্যক্তি নামে অভিযোগে লিপিবদ্ধ) এর কাছ থেকে প্রায় ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

কুমারখালী থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই নজরুল ইসলাম আরো বলেন, আমরা একাধিকবার অভিযান চালিয়েছি,কিন্তু আসামীরা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।  দ্রুত আসমী  আটক করা হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ