পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে জানা গেছে গত ২১ জুলাই সকালে জসিম খানের স্ত্রী জান্নাত ও তার দুই ছেলে ডাক্তার দেখাতে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর আর বাড়িতে ফেরেননি জান্নাত। তার ব্যাবহারিত মোবাইল ফোনের নাম্বারটিও বন্ধ পাওয়া যায়। দুই ছেলে ও স্ত্রীকে খুঁজে না পেয়ে থানায় গিয়ে জিডি করেন জসিম খান।
এদিকে জসিম খান এবং তার পরিবারের দাবি, তার স্ত্রী জান্নাতের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক ছিলো তাদের এলাকার সফিক মোল্লা নামে একজনের সাথে। পরকীয়া সংক্রান্ত ঝামেলা নিয়েই হয়তো তার স্ত্রী সন্তানকে গুম করেছে সফিক মোল্লারা।
জসিম খান বলেন, কিছুদিন আগেও সফিক মোল্লা আমার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছিলো। এরপর একটা ভূয়া কাবিন করেছে। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান মিন্টু কাজিকে বলেছি। সে আমার ছেলেদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এই স্ত্রীকে মেনে নিতে বলছে। আমি মেনেও নিছি। কিন্তু এর ১১ দিনের মাথায় আমার সন্তান সহ স্ত্রী নিখোঁজ হয়েছে। এখন সফিক বাড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি আমার ছেলে কোথায় আছে জানতে চাই। জসিম খান জানান, বাড়িতে তার বাবা আছে। সে প্রতিবন্ধী এবং বিছানায় পরা। মা’ও কানে শুনেনা। এমতাবস্থায় ছেলেদের না পেয়ে দুজনেই মৃত্যু পথযাত্রী।
ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে সফিক মোল্লা। তবে সফিক মোল্লার নিকটাত্মীয়দের দাবি সফিক মোল্লা জানেনা মেয়েটি কোথায় আছে। সফিক মোল্লা পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
এই বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাটি জেনেছি। প্রথমে অভিযোগ এবং পরে জিডি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। সর্ব্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখা হচ্ছে। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
0 মন্তব্যসমূহ