রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে নির্যাতনের শিকার সামিউল আলম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় গত বুধবার গোদাগাড়ী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও এখনও কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
ওই দিন সকালে সামিউলকে তুলে নিয়ে হোটেল ও ইটভাটায় নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। সে গোদাগাড়ী পৌর এলাকার গড়েরমাঠ এলাকার জাহাঙ্গীরের ছেলে।
অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার লস্করহাটি এলাকার আনসার আলীর ছেলে মেহেদী পলাশ, মহিশালবাড়ী আলীপুর এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে আব্দুল আউয়াল, গড়ের মাঠের আব্দুল মালেকের ছেলে জাহিদ ও মাদারপুর এলাকার মৃত মতিউরের ছেলে শাহরিয়ার জয়সহ আরও ৫-৬ জন।
সামিউলের চাচা আব্দুল হামিদ বিডি নিউজকে জানান, এক চাচাতো বোনের সঙ্গে লস্করহাটি এলাকার মেহেদী পালশের প্রেমের সম্পর্ক জানতে পেরে বোনকে বাড়িতে শাসন করে সামিউল। এতে মেহেদী ক্ষুব্ধ হয়ে কিশোর গ্যাংয়ের অন্যদের সঙ্গে নিয়ে সামিউলকে উঠিয়ে নিয়ে নির্যাতনের পরিকল্পনা করে। বুধবার সকালে মোটরসাইকেলে তুলে গোদাগাড়ী হাসপাতালের সামনের একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে মারধর এবং পরে লস্কহাটিতে ইটভাটায় নিয়ে গিয়ে নির্মম নির্যাতন চালায়। এ সময় সিগারেটের ছ্যাঁকাও দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
নির্যাতিত সামিউল আলম জানায়, নির্যাতনের আগে মেহেদী পলাশ তার বাড়ি থেকে ফেনসিডিল নিয়ে এসে তা সেবন করে মারধর শুরু করে।
এ বিষয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, এক এসআই অভিযোগের তদন্ত করছেন।
0 মন্তব্যসমূহ