ভুক্তভোগী আবেদিন এর ভাই শুকুর আলম জানান, তার ভাই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এলাকার সকলে সেটা জানে। তাদের বসতবাড়ির সাড়ে তিন শতাংশ জমির অংশীদার তার ভাই আবেদিন। তাদের পাশ্ববর্তী বাড়ির সোন্দাহ নন্দলালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আসলাম মাষ্টার, প্রতিবেশী মজনু, প্রতিবেশী দলিল লেখক রাজু ও সাবুল গত সপ্তাহে তার ভাইকে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেবার প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে জমি রেজিস্ট্রি করে নিয়েছে বলে জানান। তিনি বলেন তারা হতদরিদ্র মানুষ বাবার সম্পত্তির অংশ যতটুকু তার ভাই আবেদিন পেয়েছে সেখান থেকে ১ কাঠা জমি কৌশলে রেজিস্ট্রি করে নিয়েছে চক্রান্তকারীরা। তিনি তার ভাইয়ের জমি ফেরত পেতে ও দলিল বাতিলের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সাব- রেজিস্ট্রারের কাছে দরখাস্ত দিয়েছেন বলে জানান।
ভুক্তভোগী আবেদিন জানান, আমাকে ভাতার কার্ড করে দেবার কথা বলে কাজী অফিসে নিয়ে যায় আসলাম মাষ্টার,রাজু ও সাবুল। সেখানে যেয়ে আমাকে বলে, যে যা জিজ্ঞেস করবে সব কথার হ্যাঁ জবাব দিতে। আমি তাদের কথা মতো সবকিছু করেছি।
বিষয়টি জানতে সোন্দাহ নন্দলালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আসলাম উদ্দিনকে একাধিকবার মোবাইলে ফোন দিলে বন্ধ দেখায়।
দলিল লেখক রাজু (লাইসেন্স নং ৭২) জানান, মহিষের গাড়ী যে ব্যক্তি চালাতে পারে সে কিভাবে প্রতিবন্ধী হয়। রেজিষ্ট্রি অফিসে এসে সব কথা শুনে বুঝে আবেদিন স্বাক্ষর করেছে। আবেদিনের জমি বিক্রির ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা না দিয়ে আত্মসাৎ করার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে নন্দলালপুর ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান খোকন জানান, জমি রেজিস্ট্রির বিষয়টি জানার পর খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে আবেদিন একজন প্রতিবন্ধী। তাকে এই মর্মে প্রত্যয়ন দেয়া হয়েছে।
খণ্ডকালীন দায়িত্বরত সাব- রেজিস্ট্রার মো. কাউছার আলী জানান, যদি এভাবে জমি রেজিস্ট্রি হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দিলে অবশ্যই অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল জানান, দরখাস্ত পেয়েছি। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
0 মন্তব্যসমূহ