সামিরা খাতুন পাশা
মা যে ভবে জনম নিল আমার আলো হয়ে,
দুধে- ভাতে রাখতে মোরে জীবন দিল ক্ষয়ে।
আমার মুখের হাসি ভোলায় শতেক ব্যথা মায়ের,
চোখের অশ্রু ছাপ ফেলে মায়ের মনে ভয়ের।
মা যে আমার বুকের মাঝের হৃৎপিন্ডখানি,
তিনি বিনে সবই মিছে এ সত্য মানি।
ভূবন জুড়ে স্বার্থ দেখি, মায়ের মাঝে নেই,
মাকে বিনে হারিয়ে ফেলি নশ্বর ভবের খেই।
শত কষ্টে জঠরে রেখে দেখালো ভবের মুখ,
আগমনে আমার তারে এনে দিল সুখ।
একটি, দু’টি দিন করে কত বছর কাটে,
আমার ব্যথায় কেমন করে মায়ের বুকটি ফাটে!
কথা বলা, আদব-কায়দা মায়ের কছে শিখি,
তার স্নেহের পরশ নিয়ে জীবনে প্রথম লিখি।
কত জনে বলে তোমায় জনম দুখি মা,
আমার চোখে তুমিই রানী অন্য কেহ না।
তোমার চরণ তলে খুঁজি আমার পূণ্যলোক,
সেবায় তোমার মাগো আমার জীবন উজার হোক।
বিশ্ব ব্যাংক তুমি মাগো ভালোবাসার আধার,
ঐক্য শেখাও তুমি মোদের প্রাচীর ভেঙ্গে বাঁধার।
কান্না, হাসি, আহার, নিদ্রায় সদা তোমায় পাই,
সকল ত্যাগে শ্রেষ্ঠ মাগো তোমার জুড়ি নাই।
তোমার পায়ের নিচে দয়াল দিলেন স্বর্গখানা,
সর্ব গুণে ভরিয়ে দিয়ে করলেন আপনজনা।
0 মন্তব্যসমূহ