সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য টাকা নেবার অভিযোগ ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে।।BDNews.in

যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ড সদস্য এমদাদুল হক খোকন।

গোলাম সরোয়ার, কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার কুমারখালীর যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ড সদস্যর বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী ভাতা করে দেবার নামে টাকা নেবার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী টাকা দেবার পরও ভাতার কার্ড  না পাওয়ায় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ দিলে ইউপি সদস্য তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন মোবাইল ফোনে। হুমকির অডিও রেকর্ডিং ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ায় ইউপি সদস্য খোকনকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। 

ভুক্তভোগী যদুবয়রা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান বিশ্বাস। তিনি তার শারীরিক প্রতিবন্ধী স্ত্রী  আমেনা খাতুনের  ভাতার জন্য টাকা দিয়েছেন।

ভুক্তভোগী আব্দুল মান্নান বিশ্বাস জানান, তার প্রতিবন্ধী স্ত্রীর ভাতা করে দেবার জন্য যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের  ২নং ওয়ার্ড সদস্য এমদাদুল হক খোকন নিজে পাঁচ শত টাকা ও একই ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য হাসির কাছে দুই হাজার আটশত টাকা দিতে বলেন। তিনি টাকা দেওয়ার পর খোকন তার স্ত্রীর প্রতিবন্ধীর পরিচয় পত্র  দিয়েছেন। এসময় তিনি ভাতার কার্ড চাইলে খোকন নারী ইউপি সদস্যর সাথে কথা বলতে বলেন। এবং নারী ইউপি সদস্য তার কাছে আরো তিন হাজার টাকা দাবী করেন। তিনি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে খোকন তাকে তাড়িয়ে দেন। পরবর্তীতে তিনি বিষয়টি সাংবাদিকদের জানালে সাংবাদিকদের অফিসে থাকা অবস্থায়  ইউপি সদস্য খোকন তাকে মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেন। তিনি আরো জানান এ বিষয়ে একটি দরখাস্ত তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দিয়েছেন।

৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য হাসি টাকা নেবার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ভাতার কার্ড করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় টাকা দিতে হয় যে কারণে তিনি দুই হাজার আটশত টাকা নিয়েছেন। পরবর্তীতে আরো তিন হাজার টাকা দাবীর বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। 

এ বিষয়ে যদুবয়রা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান জানান, যদি কোন ইউপি সদস্য ভাতার কার্ড করার জন্য টাকা নিয়ে থাকে তাহলে এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিত। 

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীর নিকট ভাতার কার্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন ভাতার কার্ড করতেই টাকা লাগেনা। যদি কেউ প্রতারণার মাধ্যমে টাকা নিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল জানান,   ভাতার কার্ড করার জন্য ইউপি সদস্য টাকা নিয়েছেন এমন একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সত্যতা মিললে ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ