সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

শ্বশুর বাড়ি থেকে ইতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।।BDNews.in


বিডি নিউজ ডেস্কঃ কয়েক বছর আগে নগরকয়া গ্রামের আশরাফ হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় ইতি খাতুনের। পারিবারিক কলহের জেরে আশরাফ মাঝেমধ্যেই ইতিকে মারধর করতেন। মারধরের শিকার হয়ে প্রায়ই বাবার বাড়ি চলে যেতেন ইতি ।

 গত ১৫ দিন ধরে ইতির সঙ্গে তাঁর বাবার বাড়ির কারও কোনো যোগাযোগ ছিল না।গতকাল রাত ১টার দিকে স্বামীর বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে ইতি খাতুনের (৩০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

মৃত গৃহবধূ উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের বড় ভালুকা গ্রামের ভ্যানচালক সামছুল মণ্ডলের মেয়ে। নগরকয়া গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে আশরাফ হোসেনের স্ত্রী। 

পরে আজ রোববার সকালে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী আশরাফ হোসেন ও শ্বশুর শুকুর আলীকে আটক করা হয়েছে।

ইতির বাবা  সামছুল মণ্ডল বলেন, আমার মেয়েকে তাঁর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি মিলে পিটিয়ে ও গলা টিপে হত্যা করেছে। মেয়ের বাঁ হাত ভাঙা ও মাথা ফুলে গেছে। গলায় কালো দাগ রয়েছে। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই। আমি থানায় মামলা করবো। এভাবে কান্নাজড়িত কন্ঠে কেদে কেদে বলছেন তিনি।

অভিযোগ অস্বীকার করে গৃহবধূর শাশুড়ি আনোয়ারা খাতুন বলেন, ‘ব্যাটার (ছেলের) বউয়ের মিরকি (মৃগ) ব্যারাম (রোগ) ছিল। কাইল (শনিবার) রাইতে মিরকি ব্যারাম রোগেই মইরা গেছে।’

 কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসিন হোসাইন বলেন, খবর পেয়ে রাত ১টার দিকে শ্বশুরবাড়ির নিজ ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের একটি হাত ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন এবং গলায় শ্বাসরোধের দাগ রয়েছে। গতকাল কোনো এক সময় তাঁকে পিটিয়ে এ শ্বাসরোধে হত্যা করা হতে পারে। সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ