আগেকার দিনে বাঙালি সমাজে কন্যাদের পণ দিয়ে বিয়ে দিতে হতো, কন্যার গায়ের রঙ কিছুটা শাদাটে হলে পণ একটু কম লাগতো। তাই কালো কিংবা শ্যামা মেয়েদের নিয়ে পরিবার শুধু নয়, প্রতিবেশীরাও চিন্তায় পড়ে যেতো। আমারও তাই মেয়ে হয়ে জন্মাবার স্বার্থকতা খোঁজার জন্য হন্যে হওয়া ; ক্লাসে ভালো ছাত্রী হতে হবে, মা বাবা ভাই বোনের কথামতো চলতে হবে। নিয়মিত পড়াশোনা করতে হবে।
আর বড় হয়ে ডাক্তার হতে হবে,,, কমন ফিনোমিনাতো ছিলোই। সেমতে হতেও থাকলাম শ্রেণিকক্ষে ফার্স্ট গার্ল। ক্লাস থেকে ফিরে মায়ের কথা শোনা, ভাইয়ের জন্য বুক ভর্তি ভালোবাসা, বাবার বাড়ি ফেরার প্রতীক্ষার প্রহর গোণা।
এসব ছাপিয়ে খেয়াল করলাম কখন যে বাবা-মায়ের সবথেকে প্রিয় এবং কাঙ্ক্ষিত সন্তান হয়ে গেলাম আমি। যখন সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের এক ও অভিন্ন ভালোবাসা টের পেতে শুরু করলাম, এবং টের পেলাম আমার মধ্যেও মা বাবা তাঁদের সন্তান জন্ম দেবার স্বার্থকতা খুঁজে নিচ্ছেন, সেই সময়ে বাবা-মা চলে গেলেন বহুদূরে, অজানার ঠিকানায়।
0 মন্তব্যসমূহ