সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

স্কুল শিক্ষক ও অভিভাবকরা বলছে কটুক্তি না, এটা ষড়যন্ত্র।।BDNews.in


গোলাম সরোয়ার, কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার কুমারখালী কয়া চাইল্ড হ্যাভেন নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহানবীকে কটুক্তি করার অপরাধে থানা পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়,কয়া চাইল্ড হ্যাভেন নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবু সালেহ (৫০), পিতা- মৃত আব্দুল জব্বার শেখ,কয়া,কুমারখালী,কুষ্টিয়া, প্রধান শিক্ষক স্কুলের ছাত্রীদের বলেন তোমরা বোরকা পরবে না,চুল ছেড়ে দিয়ে, মাথায় ক্যাপ পরে,পায়ে জুতা পরে সাইকেল যোগে স্কুলে আসবে।

এ বিষয়টি নিয়ে উক্ত স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী মোছাঃ সাইমা খাতুনের অভিভাবক ১) মোছাঃ শাহানাজ খাতুন স্বপ্না, স্বামী -মোঃ রিয়াজ উদ্দিন মিস্ত্রি কয়া কামার তলা,২) মোছাঃ কোহিনুর বেগম, স্বামী-মোঃ মুকুল বিশ্বাস, কয়া কারিগর পাড়া,স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে  তিনি (প্রধান শিক্ষক) মহানবীকে নিয়ে বিভিন্ন প্রকার কটুক্তি করেন। ঘটনাটি নিয়ে কতিপয় ব্যাক্তি ঐ দুই মহিলার বক্তব্য ভিডিও আকার ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিয়ে ভিডিও ভাইরাল  করেণ। 

বিষয়টি থানার নজরে আসলে,কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসীন হোসাইন এর নির্দেশে শিক্ষককে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে মোঃ এনামুল হক,পিতা-ইন্তাজ আলী শেখ,বাড়াদী কয়া কুমারখালী বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং ২৬,তারিখ,২২/০২/২০২৩ ইং। 

মহানবীকে কটুক্তির ভিডিও ভাইরালের বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা প্রেস ক্লাব,কুমারখালী একটি টিম গত ২২ ফেব্রুয়ারী বেলা ১১ টার দিকে কয়া চাইল্ড হ্যাভেন নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে গেলে বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে। 

প্রধান শিক্ষক পুলিশ হেফাজতে থাকার কারণে তার স্ত্রী  নিলুফার ইয়াসমিন লিলি এই প্রতিনিধির কাছে জানান,গত ২০ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০. ৩০ মিঃ সময় কয়া গ্রামের রিয়াজের স্ত্রী স্বপ্না,রফিকুলের স্ত্রী কয়া সরকারী বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আখি ও স্বপন দর্জির ভাইয়ের স্ত্রী এসে জামায়তে ইসলামী এর সদস্য ফরম হাতে দিয়ে সদস্য হতে বলেন এবং স্কুলের ছাত্রীদের সাথে মাহফিল করতে চান। 

আমি অস্বীকার করার কারণে এই মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। অবসর প্রাপ্ত এটিও এবং চাইল্ড হ্যাভেন নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আবুল কাশেম,তিনি বলেন আবু সালেহ কিছু শিক্ষক নিয়ে তিলে তিলে স্কুলটি গড়ে তুলেছে। জানুয়ারী "২৩ এমপিও ভূক্ত হয়েছে। এখন একটা নিয়োগ প্রস্তুতির ব্যাপার স্যাপার আছে। 

আবু সালেহ আমাকে বলেছিলো,জামায়াতের কয়েকজনকে শিক্ষক নিয়োগ দিতে চাপ দিচ্ছে একটি মহল। হয়তো রাজী না হওয়ার কারণে এই ষড়যন্ত্র! অভিভাবক,স্কুল শিক্ষককেরা বলছেন,প্রধান শিক্ষক ইসলাম বিরোধী হলে, স্কুলে নামাজের স্থান করতেন না। ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় দুষ্কৃতকারীরা স্কুলের অস্থায়ী শহীদ মিনারসহ স্কুলে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধান করেছে। কয়া সরকারী বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল শিক্ষিকা আখি ম্যাডামের নাম আসায়, আখি ম্যাডাম অস্বীকার করেন। স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকেরা বলেন,হেড স্যার একজন মুসলমান সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। 

তিনি মহানবীকে নিয়ে যদি কটুক্তিই করবেন তাহলে তার একটি ইউটিউব চ্যানেল আছে,চ্যানেলটির নাম "দূরের আলো" সেখানে গিয়ে দেখেন তিনি মহানবীকে নিয়ে গান ও গজল গেয়েছেন। প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ ও স্কুলটি নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে একটি মহল। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। এবং তদন্তপূর্বক দোষী ব্যাক্তিদের আইনের আওতায় আনার জোড় দাবী জানান।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ