কুরআন-হাদীসে ‘সাওম-সিয়াম, শাহরু রামাযান’ বলা হয়েছে। ‘রোযা এবং মাহে রমযান’ বলার পরিবর্তে ‘সাওম-সিয়াম এবং শাহরু রামাযান’ বলা উত্তম এবং বরকতময়। কারণ ‘সাওম-সিয়াম, শাহরু রামাযান’ শব্দগুলো আল্লাহ এবং আমাদের প্রিয় নবী (সা.) এর ব্যবহৃত শব্দ।
এমনিভাবে নামায, রোযা ইত্যাদি শব্দের পরিবর্তে সালাত, সাওম এবং যাকাত বলা উত্তম ও বরকতময়। কিন্তু আমরা বইটিতে মাঝে-মধ্যে সহজে বলার জন্য দু’-তিনটি স্থানে মাহে রমযান, এবং রোযা শব্দ ব্যবহার করেছি। বইটির শিরোনামকেও সহজ করা জন্য ‘মাহে রমযান’ লিখেছি।
তবে চেষ্ট করবো আল্লাহ এবং তাঁর নবী (সা.)-এর ব্যবহৃত এবং পছন্দনীয় শব্দগুলো ব্যবহার করার জন্য। সিয়াম ইসলামের চিরশ্বাসত একটি বিধানের নাম। তাহলে রমযান এবং সিয়াম দু’টি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়।
রমযানের তাৎপর্য রমযান শব্দ থেকেই বুঝা যায়। কারণ রমযান শব্দের অর্থ হচ্ছে, ঝলসে দেয়া, জ্বালিয়ে দেয়া ইত্যাদি। যেহেতু রমযানের সিয়াম পালনের মাধ্যমে সিয়াম পালনকারীর স্বীয় পাপকে জ্বালিয়ে, পুড়িয়ে ছাই করে দেয়া হয়, তাই রমযানকে রমযান বলা হয়।
0 মন্তব্যসমূহ