প্রথমে ২ লক্ষ্য টাকা চাঁদার দাবি করলে, চাঁদা দিতে রাজি না হলে মাস্তান নিয়ে তার অফিসে গিয়ে ভয়-ভীতি ও হুমকি কিছুতেই চাঁদা দিতে রাজি না থাকাই মিথ্যা মামলা ও ভিত্তিহীন নিউজ করেন এই চাঁদাবাজ সাংবাদিক এসএম রুবেল ও আলামিন দুইজন মিলে।
চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আজাইপুর এলাকার মৃত হারেজ আলীর ছেলে মোঃ জিয়ারুল ইসলাম জিয়া। সে দীর্ঘদিন যাবত মাটির ব্যবসায়ী। নতুন পুরাতন বাড়ি ও মাটি বেচাকেনা করেন স্বনামধন্য ব্যাবসায়ী জিয়ারুল ইসলাম জিয়া।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবত চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা বালু বাগান এলাকার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে আল আমিন (৪০) তার তৃতীয় বউ তাজরিনকে নিয়ে জিয়ারুল ইসলামের আরামবাগস্থত বাড়িতে ভাড়া থাকেন। কিন্ত বিগত ৬ মাসের ভাড়া বকেয়া রেখেছেন আলামিন-তাজরিন দম্পতি। ভাড়ার টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন ভয়-ভীতি ও হুমকিও দেন আলামিন ও তার বউ তাজরিন।
ভাড়ার টাকা না দেওয়ার জন্য গত পাঁচ দিন থেকে আলামিন, দালাল মজিবুর এবং কথিত সাংবাদিক এস এম রুবেলকে নিয়ে চাঁদার দাবি করেন।
চাঁদা দিতে রাজি না হলে বৃহস্পতিবার (২২ জুন) রাত ৮ টার দিকে কথিত সাংবাদিক আলামিন, এসএম রুবেল সহ কিছু মাস্তান নিয়ে আবারও চাঁদা দাবি করে। এমতাবস্থায় চাঁদা দিতে রাজি না হলে বিভিন্ন ভয় ভীতি ও প্রাণ নাসের হুমকি প্রদান করেন।
ভুক্তভোগী জিয়ারুল ইসলাম জিয়া জানান, উল্লেখ্য যে আলামিন আমার আরামবাগ এর বাড়ির ভাড়াটিয়া। সে দীর্ঘদিন যাবত আমার বাড়িতে ভাড়া রয়েছে। কিন্তু গত ছায় মাস যাবত আমাকে আমার ভাড়ার টাকা পরিশোধ করেনা। আমি বিভিন্ন সময় তার কাছে আমার পাওনা টাকা চাইলে গত পাঁচ দিন যাবত সে উপরোক্ত মজিবুর রহমানকে জমির দালাল সাজিয়ে গত দেড় মাস পূর্বে আমার একটি জমি বিক্রির ফ্রি বাবদ আমার কাছে অহেতুক ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে।
উপরোক্ত ঘটনার পরিপেক্ষিতে, মোঃ জিয়ারুল ইসলাম জিয়া বর্তমানে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে এ প্রসঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় বিবাদী ০১। এস.এম রুবেল ০২। আলামিন ও ০৩।মজিবুর রহমানের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, এর আগেও এসএম রুবেল ও আলামিনের নামে একাধিক চাঁদাবাজি ও চুরির মামলা রয়েছে এবং মামলায় জেলহাজতেও ছিলেন তারা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বাদী ও বিবাদী দুজনেরি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0 মন্তব্যসমূহ