অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকরী কমিশনার ( ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত ও থানার পুলিশ।
উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, স্থানীয় হৃদয় হোসেন নামের এক যুবক কুমারখালী - যদুবয়রা সেতুর ( প্রস্তাবিত নাম : শহীদ গোলাম কিবরিয়া সেতু) নিচে (দক্ষিণপাশে) পাকা দোকানঘর নির্মাণ করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৬ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। অভিযানে অবৈধ স্থাপনাটি ভেঙে দেওয়া হয়।
এবিষয়ে ইউএনও বিতান কুমার মন্ডল বলেন, নতুন সেতুর একদম নিচে অবৈধভাবে স্থাপনাদি নির্মাণ করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে তা ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গড়াই নদীর তীর ঘেঁষে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার অবস্থান। নদীটি উপজেলাকে দুই ভাগে ভাগ করে রেখেছে। ১১ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬ টি নদীর এপারে ( উত্তর) আর ৫ টি ওপারে ( দক্ষিণ)। যদুবয়রা, পান্টি, চাঁদপুর, বাগুলাট ও চাপড়া নামের ৫ টি ইউনিয়নের মানুষের উপজেলা সদরের সঙ্গে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল নদীটি। তবে দীর্ঘ শত বছরের সেই বাঁধা, ভাগাভাগি বিভেদ ও অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছে ৬৫০ মিটার সেতুটি।
উপজেলাবাসীকে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার, ভোগান্তি কমাতে ও জনস্বার্থে গত ২৮ জুন কুষ্টিয়া -০৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার সেলিম আলতাফ জর্জ বৃষ্টি উপেক্ষা করে সেতুর দক্ষিণপাশ থেকে পাঁয়ে হেটে উত্তরপাশে এসে সেতুর দ্বার খুলেছেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুর উদ্বোধন হবে আরো পরে বলে জানা গেছে।
0 মন্তব্যসমূহ