সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

এমটিএফই ট্রেডিং অ্যাপ: এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় স্ক্যাম।।BDNews.in


বিডি নিউজ ডেস্কঃ ক্রিপ্টো, বৈদেশিক মুদ্রা, কমোডিটি এবং এমনকি বিদেশি স্টক নিজের ছায়া প্ল্যাটফর্মে ট্রেড করার সুযোগ দিয়ে একটি অ্যাপ সম্প্রতি অবিশ্বাস্যরকম জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

ট্রেডিং থেকে উপার্জন এবং অর্থ পরিশোধের কথা বলে এ অ্যাপটি ব্যবহারকারীদেরকে অবিশ্বাস্য সহজপথে অর্থ আয়ের আমন্ত্রণ জানায়।

গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যায় এমটিএফই অ্যাপটি। ইতোমধ্যে উপজেলা পর্যন্ত মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে এটি। গ্রাহকদের সিমুলেশন প্ল্যাটফর্মে ট্রেডিং অনুশীলন করতে বলে অ্যাপটি। ট্রেডিংয়ের এ চর্চার সময় লাভ-ক্ষতি যা-ই হোক, তার মালিকানা থাকে ব্যবহারকারীর কাছে।

বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ এমটিএফই অ্যাপে কমপক্ষে প্রায় ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন বলে বিনিয়োগকারীদের একজন জানান। এ ব্যক্তি ২৬ ডলারের বিনিয়োগের বিপরীতে প্রতিদিন প্রায় আধ ডলার আয় করতে পারেন।

সিস্টেমটিকে এই তথাকথিত ট্রেডিং চালাতে দিতে তাকে প্রতিদিন আধা ঘণ্টা তার ফোনে অ্যাপটি খোলা রাখতে হয়। একটি ট্রেডিংয়ে জিতলে তিনি আধা ডলার উপার্জন করেন। হারলে জরিমানার পরিমাণও একই।

তবে এক্ষেত্রে সমস্যাটা হলো, নতুন কেউ তার রেফারেন্সসহ অ্যাপটিতে যোগ দিলে তিনি দুই ডলারের বেশি আয় করেন — কোনো পঞ্জি স্কিম পদ্ধতির চিরায়ত নিয়ম যেটি।

বাংলাদেশে বিদেশি সম্পদে বিনিয়োগ নিষিদ্ধ। এ কারণেই এমটিএফই ব্যবহারকারীদেরকে প্রথমে গ্রে মার্কেটে ব্যবহার করে ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনতে হয়। তারপর তারা প্ল্যাটফর্মটিকে অর্থ প্রদান করেন।

আবার অ্যাপটি থেকে ব্যবহারকারীদেরকেও ক্রিপ্টো মুদ্রায় অর্থ পরিশোধ করা হয়। ওই ক্রিপ্টো বাংলাদেশি এমটিএফই ব্যবহারকারীরা প্রথমে ডলারে এবং তারপর স্থানীয় মুদ্রায় রূপান্তর করেন।

রাজশাহী, সিলেট, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং অবশ্যই ঢাকার যেসব ব্যবহারকারীর সঙ্গে এ প্রতিবেদকদ্বয় কথা বলেছেন, তাদের প্রায় সবাই বেশ ভালোভাবে জানেন যে হুট করেই যেকোনো একদিন অ্যাপটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

বরিশালে এমন একজন ব্যবহারকারী অ্যাপটির মাধ্যমে দুই কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছেন।

জেলার বানারীপাড়ায় এমটিএফই ব্যবহারকারীরা প্রায়ই তাদের 'সাফল্য' উদযাপন করতে মিলিত হন। এমটিএফই ব্যবহারকারীদের একটি ফেসবুক পেজে প্রায় ৫০ হাজার সদস্য রয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ