সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

ফেব্রুয়ারি এবং বইমেলা - শিরিন শবনম।।BDNews.in


ইংরেজি ক্যালেন্ডারের পাতায় ফেব্রুয়ারি। প্রাণের ঐতিহ্য জানান দেয় এটা ভাষার মাস। বাঙলা ষড়ঋতুর ঐতিহ্য বলে এটা বসন্ত আসার মাস। আবার এক্সচেঞ্জড কালচারের বদৌলতে এই মাসেই ভালোবাসা দিবস। এত এত উপলক্ষ্য নিয়ে এটা কারও জন্ম মাস। কারো বন্ধুত্ব গড়ার মাস। কারও আবার আগামী জীবন একসঙ্গে থাকার প্রত্যয়ে বা প্রতিশ্রুতিতে ফুলেল বন্ধনে বাঁধা পড়ার মাস।

শিরিন শবনমের জন্ম দ্বীপশহর ভোলা জেলায়। সেখানেই বেড়ে ওঠা, সেখানেই লেখাপড়া। বিয়ে পরবর্তী জীবনের প্রয়োজনে ঢাকায় সেটেলড। কর্পোরেট ক্যারিয়ারে দীর্ঘ জীবন কাটানো বইপড়ুয়া শিরিন শবনমের লেখার হাতেখড়ি কোভিডকালীন ঘরবন্দি সময়ে। ব্যক্তি জীবনে শিরিন শবনম দুই কন্যার জননী। অনেক গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ লিখলেও 'অভ্রান্ত বোধ' তার প্রথম মুদ্রিত উপন্যাস। নিজের মনে ডুবে থাকতে পছন্দ করা শিরিন শবনম সাহিত্যকে নিজের মধ্যে ধারণ করেন। সেই মননের ফলশ্রুতি তার এই লেখালেখির জগত।

সব ছাড়িয়ে সাহিত্য প্রেমী পড়ুয়াদের কাছে এটা বইমেলার মাস। তবে সাহিত্য শুধু বাঙলায় সীমাবদ্ধ নয়।

আমাদের গল্প শোনার জীবন শুরু হয় দাদী নানী বা মায়ের মুখে রূপকথার ব্যাঙমা ব্যাঙমীর গল্প শোনা দিয়ে। রূপকথা দিয়ে পড়তে শুরু তবে শেষ কোথায় কেউ জানে না। যে যত পড়বে তার গন্ডি ততদূর বিস্তৃত হবে। দশ বছর বয়সে নিজের কেনা কুচবরণ কন্যা, সোনার পাখি দিয়ে শুরু হয়েছে আমার, এখনও পড়ছি। দর্শন, বিজ্ঞান, ধর্ম, রাজনীতি সবই আগ্রহ জাগায়। তবে হৃদয়ের প্রশান্তির জায়গাটা সাহিত্য। এই সাহিত্যের মধ্যেই আমার মনোজগত গড়ে উঠেছে। বিভিন্ন দেশের উপন্যাস পড়েছি, তাদের মানুষ, প্রকৃতি, জীবন যাপনের সুবিধা অসুবিধা সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জেনেছি। তবে নিজ ভাষার বাইরে ইংরেজি ভাষায় কেবল পড়তে পারি। বিশ্বের সমৃদ্ধ কমবেশি সব সাহিত্য ইংরেজিতে পাওয়া যায়। যখন পড়ি, চরিত্রদের সঙ্গে ভ্রমণ করি ওই সময়টাতে, তাদের ঘটনার একজন হয়ে। আমার হৃদয়ের যতটুকু সমৃদ্ধি তা এই সাহিত্য পড়েই। বিশ্ব সাহিত্যে বিচরণ করেই।

এক সময় প্রেরণা পেলাম অনুবাদে। মনে হয়েছে যারা ইংরেজিতে পড়তে পারেনি অথচ হৃদয়ে সাহিত্যের প্রতি বিপুল আগ্রহ তাদের কাছে নির্দিষ্ট বইটি পৌঁছে দেয়া যায়। সৃষ্টির আনন্দ পেলাম, আমার ভাষার মানুষ বইটির পাঠ আনন্দ পেল। এ আনন্দ এক ঘোর তৈরি করে। যারা এর সংস্পর্শে এসেছে তারাই কেবল উপলব্ধি করতে পারে এই ঘোরের স্বরূপ। ভাষায় প্রকাশযোগ্য নয়।

সেই ঘোর থেকে উইনস্টন গ্রুমের ফরেস্ট গাম্প বাংলায় অনুবাদ করেছি। এই যাত্রায় আমার সঙ্গে আছেন সম সাহিত্য অনুরাগী পায়েল মণ্ডল। কোয়ালিটি মেনটেইন করতে পুরো বইটি একধিকবার রিভাইজ করেছি। আমার বিশ্বাস যারা পড়বেন তারা এর অক্ষুন্ন কোয়ালিটির স্বাদ পাবেন।

অনুবাদ তো করেছি দুইজন মিলে, মূদ্রণ না হলে পাঠকের আওতায় আসবে না।

এখানে এগিয়ে এসেছেন প্রকাশক মোঃ রাশেদুল হাসান এবং তার প্রকাশনা সংস্থা চলন্তিকা। আমার কনসেপ্টে চমৎকার এই প্রচ্ছদটির জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ পাবেন লুৎফি রুনা। প্রকাশনীর পক্ষে সব ধরণের কমিউনিকেশনের দায়িত্বে ছিল প্রিয়া রহমান।

শুরু হচ্ছে বইমেলা, ফরেস্ট গাম্প পাওয়া যাবে চলন্তিকা স্টলে (স্টল নম্বর : ৭-৮)।

বই প্রেমী পড়ুয়া বন্ধুদের প্রতি প্রত্যাশার কলেবর বেড়েই চলছে। গত বইমেলায় যারা ড্যেবু নভেলা "অভ্রান্ত বোধ" এবং যৌথ অনুবাদে "নারীকথন" সংগ্রহ করেছেন তাদের প্রতি আহ্বান ফরেস্ট গাম্প পড়ে দেখুন। অন্য এক জগতে পরিভ্রমণ স্বাদ পাবেন। নতুন বন্ধুদের প্রতি আহ্বান বইগুলো পড়ে দেখতে পারেন।

চলন্তিকা স্টল ছাড়াও আরো কয়েকটি অনলাইন বুক শপেও বইটি পাওয়া যাচ্ছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ