অনুমোদনহীন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এসব খাদ্য পণ্য তৈরির হয় নগরীর ময়নাকুড়ি ছিলমোহর এলাকার মোহাম্মদ আলমের নিজস্ব কারখানায় । তার কারখানা থেকে নিম্নমানের বার্গার, পিৎজা, হট ডগ ও স্যান্ডউইচ, চিকেন রোল ও পেটিসসহ হরেকরকম ফাস্টফুড খাবার বাজারজাত হয় নগরীর বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে।
কারখানায় স্যান্ডউইচ ২৮ টাকায় কিনলেও সুপার মার্কেটের নিচতলার সুপার স্ন্যাক্স চটপটি হাউসে একটি স্যান্ডউইচ বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। যা পাইকারি দামেরও দ্বিগুণ। ৪৫ টাকার চিকেন রোল ৯০ টাকা ৩৬ টাকার হটডগ ৭০ টাকাসহ সকল খাদ্যসামগ্রী দ্বীগুন দামে বিক্রি করা হয়।
এদিকে তরল পানীয় লাচ্ছির বরফে দেওয়া হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর মাছের বরফ,দই ও মিষ্টান্নর বিএসটিআই কর্তৃক অনুমতি না থাকলেও সরবরাহ হচ্ছে এই লাচ্ছিতে। আর এই অস্বাস্থ্যকর লাচ্ছির দাম ধরা হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা।
খোজ নিয়ে জানাগেছে, সুপার স্ন্যাকসের স্বত্বাধিকারী আনোয়ার মিয়া নগরীর সাতমাথার দখীগঞ্জ এলাকায় আজব নীলা চাউল ঘরের আড়ালে গড়ে তুলেছে তাঁদের কারখানা। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেখানে তৈরী হচ্ছে দই ও মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার। এদিকে লাচ্ছির জন্য বরফ কেনা হয় সিটি বাজার মাছের আড়ৎ থেকে।
এছাড়াও সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারতীয় চকোলেট সহ শিশুদের বিভিন্ন খাদ্যপণ্য অবৈধভাবে আমদানি করে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানটি
এ বিষয়ে সুপার স্ন্যাকস স্বত্বাধিকারী আনোয়ার মিয়ার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে, প্রতিষ্ঠানটিতে নিজস্ব কোন সাইনবোর্ড কিংবা রসিক ও বিএসটিআই কর্তৃক অনুমোদন রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখার দাবি সাধারণ ভোক্তাদের।সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণাকারী প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে প্রশাসন ও সরকারি সংশ্লিষ্ট দপ্তর আইনি যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন এমনটাই প্রত্যাশা নগরবাসীর।
0 মন্তব্যসমূহ