সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

শিক্ষার্থীদের টাকা দিলাম, আমাকেও অ্যারেস্ট করুক: জাফর ইকবাল।।BDNews.in


বিডি নিউজ ডেস্কঃ সিলেট- শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের ১০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দিয়েছেন অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

এ সময় আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আবেগি মানুষ। চোখের জল আটকাতে পারি না। আমি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী স্মারকে লিখে ১০ হাজার টাকা পেয়েছি। এটা এখন তোমাদের দিচ্ছি। এখন সিআইডি দেখি আমারে অ্যারেস্ট করে কিনা। আমারে অ্যারেস্ট করে নিয়ে যাক।’

পুলিশের উদ্দেশ্যে জাফর ইকবাল বলেন, ‘ছাত্রদের গায়ে হাত তুলবেন না। অলরেডি হাত তুলে আপনারা অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলেছেন। আর করবেন না। তাদের হয়রানি করবেন না।’

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আর্থিক অনুদান দেয়ার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ৫ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক শিক্ষার্থীদের একজনের স্বজন এ সময় জাফর ইকবালের হাত ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

ড. ইকবাল তাকে বলেন, ‘যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের সবাইকে আজ আদালতের মাধ্যমে জামিন দিয়ে দেয়া হবে। আমাদের এই আশ্বাস দেয়া হয়েছে। আর কাউকে হয়রানি করা হবে না এই আশ্বাসও দেয়া হয়েছে। সেই আশ্বাস পেয়েই আমরা এখানে এসেছি।’

এর আগে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টা ৫৪ মিনিটে মুহম্মদ জাফর ইকবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আসেন। এরপর চারটার দিকে তিনি অনশনস্থলে যান। সেখান গিয়ে তিনি অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তাঁর স্ত্রী ইয়াসমিন হকও সঙ্গে ছিলেন।

গত ১৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়টির বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অসদাচরণসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ ছাত্রী। একপর্যায়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা চালায়। পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে এবং তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। পরে এই আন্দোলন উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রূপ নেয়।

গতকাল ছিল আন্দোলনের ১৩তম দিন। প্রথম ছয় দিনে দাবি পূরণ না হওয়ায় গত বুধবার বেলা তিনটা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেন ২৪ শিক্ষার্থী। তাঁদের একজনের বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ায় বাড়ি চলে যান তিনি। গত শনিবার রাত ৮টা থেকে আন্দোলনরত আরও পাঁচ শিক্ষার্থী অনশনরতদের সঙ্গে যোগ দিয়ে গণ-অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। আজ সকাল সোয়া ছয়টা পর্যন্ত ২৮ জনের মধ্যে ২০ জনই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বাকি আটজন অনশনস্থলে ছিলেন।

ঢাকা/মীম

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ